জনগণ চাইলে হরতাল বন্ধে আইন করা হবে : আইনমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, হরতাল বা অবরোধের নামে একটি রাজনৈতিক দল যা করছে, তা সহিংসতা-সন্ত্রাস। জনগণ চাইলে হরতাল বন্ধে আইন করা হবে। যে আইনে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে, সে আইনই করা হবে। তিনি বলেন, এটা কোনো অবরোধ বা হরতাল নয়। বাংলার মানুষ এ অরাজকতা কোনোভাবেই সহ্য করবে না। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান পলাতক। আদালত থেকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাই আদালতের আদেশ কার্যকর করতে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এ জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কি-না- প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হয়নি। তাঁরা সারা দেশে সভা করেছেন। এখন তাঁরা সন্ত্রাস করছেন। তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে আটকানো না হলে সেদিন ৫০০ মানুষ মারা যেত। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা সন্ত্রাস করে, বোমা মেরে ভীতি সৃষ্টি করে তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায়, তাহলে একশবার আলোচনা হবে। অনেকেই আলোচনার কথা বলছে। কিন্তু আলোচনার বিষয় কী? বিশৃঙ্খলা করে আলোচনার জন্য বলা হলে, তা হবে না।

সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আইনের শাসনকে সুদৃঢ় করতে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। আইন সবার ঊর্ধ্বে। সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করতে সময় লাগছে। তার মানে এই নয়, তদন্ত ধামাচাপা পড়ে আছে। আইনমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন সরকার সহ্য করবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নূর চৌধুরী কানাডায়, রাশেদ আছেন ইউএসএতে। তাঁরা যেন ওই দেশ থেকে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগের আইন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা করা হবে না। একটি আইন করা হচ্ছে। এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে এ আইন পাস হবে।

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আজই তো আর সম্ভব নয়। সচিবালয়ের জন্য সময় প্রয়োজন। নিম্ন আদালতের বিচারকদের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখবো।