জঙ্গি তৎপরতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও

 

স্টাফ রিপোর্টার: চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সব ধর্মের মানুষ। সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে ১৪ দল আয়োজিত মানববন্ধনের সাথে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে ধর্মীয় সংগঠনগুলোও। সোচ্চার হয়ে ওঠে তাদের কণ্ঠ। গুপ্তহত্যাকে ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে শাস্তি দাবি করা হয় জঙ্গিগোষ্ঠীর। এ সময় তারা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা ও গাংনীতেও এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

দেশব্যাপী গুপ্ত হত্যা, জঙ্গি তৎপরতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল রোববার বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে বিকেলে তিনটা থেকে আধাঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা  কমান্ড ও  ও সদর উপজেলা কমান্ড যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা  ইউনিট কমান্ডার আবু হোসেন, সাবেক কমান্ডার মো. নুরুল ইসলাম মালিক, সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ডার  আ.শু বাঙ্গালী প্রমুখ। এ সময় জেলা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মোস্তফা খান ও সহকারী কমান্ডার সিরাজুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশব্যাপী গুপ্তহত্যা ও জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে মুক্তিযোদ্ধারা জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অশুভ শক্তিকে রুখে দাঁড়াবে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল রোববার বিকেলে আলমডাঙ্গা হাইরোডস্থ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে এ মানববন্ধন কর্ময়াসূচি পালন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দ্দার, জেলা জাসদ আহ্বায়ক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দীন কমান্ডার, ৭১’র অগ্নিসেনা মঈনুদ্দীন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, এমদাদুল হক, নাজিম উদ্দীন, আবুল কাশেম মাস্টার, আব্দুল জব্বার, শমসের মল্লিক, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের নেতা নেসার আহমেদ প্রিন্স, ডাক্তার লিয়াকত আলী, অ্যড. নাসির উদ্দীন মঞ্জু প্রমুখ।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলার মাটিতে জঙ্গিবাদীদের ঠাঁই নেই বলে হুঁশিয়ারি করলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাংনী বাসস্ট্যান্ড শহীদ রেজাউল চত্ত্বরে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। কিন্তু কিছু বিপথগামী কুচক্রি ধর্মের দোহাই দিয়ে নানা বয়সী মানুষকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করছে। এ নেপথ্যে রয়েছে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করা। এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যেখানে জঙ্গিবাদ সেখাইনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত গুপ্তহত্যা, জঙ্গিবাদ ও বিরোধী দলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বাসস্ট্যান্ড শহীদ রেজাউল চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে একই স্থানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ আজ শান্তিতে রয়েছেন। সবক্ষেত্রেই উন্নয়নের ছোয়া। এ ধারা অব্যহত রাখতে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ ও গুপ্ত হত্যকা-ের জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরল ইসলামসহ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে খণ্ড খণ্ড মিছিল সমাবেশে অংশ গ্রহণ করে।