চোরের ওপর বাটপারি করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ইউপি মেম্বারসহ জড়িতরা

স্টাফ রিপোর্টার: চোরের ওপর বাটপারি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছে এক জনপ্রতিনিধিসহ ৫ যুবক। গতকাল বৃহস্পতিবার জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহমুদুর রহমানের বিচক্ষণতায় জনপ্রতিনিধিসহ ওই যুবকদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় আত্মসাত করা ১৫ বোতল ফেনসিডিল। বদহজম হওয়ায় ঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকার মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসী ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি নিকেরীপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে মিঠু, ফয়জাল হোসেনের ছেলে দোলন, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আলাউল, সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম, জালাল উদ্দিনের ছেলে শাহীন ও আশাদুল হোসেনের ছেলে আব্বাস আলীসহ স্থানীয় ১নং দেহাটি ওয়ার্ড মেম্বার খাসিয়ার রহমান মিঠু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত সন্দেহজনক বোরকা পরিহিত দু’নারীকে আটক করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীগণ জানান, দেহাটি নিকেরীপাড়ার মসজিদের সামনে একটি ঘরে দু’নারীকে আটক করে তাদের দেহ তল্লাশি করে তাদের নিকট থেকে ৬ পাতা ৭২ পিস ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এর পরই শুরু হয় দেনদরবার। অভিযোগ উঠেছে, জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৬১ বোতল ফেনসিডিল আত্মসাত করে আটককৃত দু’নারীকে ছেড়ে দেয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শাহাপুর ক্যাম্পের টুআইসি এএসআই মশিকুর রহমানকে ডেকে ১১ পিস ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে হস্তান্তর করে। তিনি এ ঘটনাটি জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহমুদুর রহমানকে জানালে তার মনে সন্দেহ দেখা দেয়। পাতায় থাকে ১২ পিস ফেনসিডিল। জমা দেয়া হচ্ছে ১১ পিস। সন্দেহ দেখা দেয়ায় তিনি তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ে। পুলিশ ওই জনপ্রতিনিধিসহ আতাউল নামের এক যুবককে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নিকট থেকে আত্মসাত করা ১৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহমুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।