চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ের হান্নান স্টোরের মালিকের পূর্ব অভিজ্ঞতায় রক্ষা

 

 

লোভে পড়ে বিকাশ করতে গিয়ে বেকায়দায় যুবক

স্টাফ রিপোর্টার: লোভে পা বাড়িয়ে হাসপাতাল মোড়ের দোকানে শূন্য পকেটে বিকাশ করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির যুবক সাকিব (২০)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সে হান্নান স্টোরে প্রথমে একটি নম্বরে ১৫ হাজার টাকা ও পরে অপর একটি নম্বরে ২২ হাজার টাকা বিকাশ করতে গিয়ে নিজেই প্রতারক হিসেবে অভিযুক্ত হয়। বন্দি রাখা হয় তাকে। পরে অবশ্য তার নিকটজনেরা তাকে মুক্ত করে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির সালাউদ্দীনের ছেলে সাকিব গতকাল বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতালের সামনের হান্নান স্টোরে গিয়ে ০১৭৮৭-৫৭৫৫৯৮ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে। দোকানি টাকা চাইলে সাকিব বলে কিছুক্ষণের মধ্যেই দিচ্ছি। দোকানি টাকা বিকাশের ম্যাসেজ দেয়ার নাটক করে। এরপর সাকিব আরো একটি নম্বর ০১৭২৫-২২২১২১ নম্বরে ২২ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে। দোকানির সন্দেহ হয়। টাকা চাইতেই সাকিব জানায়, ঢাকায় তার আব্বা চিকিৎসার জন্য রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রায়হান নামের একজন এসে ১৫ ও ২২ হাজার টাকা পরিশোধ করছে। রায়হান আর আসে না। এক পর্যায়ে দোকানি হান্নানসহ স্থানীয়রা সাকিবের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উত্থাপন করে। সাকিব উপায় না পেয়ে তার বাড়িতে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। সাকিব খুলে বলে মূল ঘটনা।

সাকিব জানায়, মোবাইলফোনে তাকে জানানো হয়, এ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করার সাথে সাথে ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হবে। ২২ হাজার টাকা দিলে ১ লাখ টাকা। এ টাকার লোভে সে শূন্য পকেটেই হাসপাতাল মোড়ের হান্নান স্টোরে বিকাশ করতে গিয়েছিলো।

দোকানি হান্নান বলেছেন, এর আগে একই কৌশলে একজনের কথা মতো আগে নগদ টাকা না নিয়ে ২২ হাজার টাকা বিকাশ করে ২ হাজার টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার কারণেই হাতে টাকা না পেয়ে সাকিবের কথায় ওই নম্বরে বিকাশ না করে টাকার অপেক্ষা করেই রক্ষা পেয়েছি। রক্ষা পেয়েছে সাকিবও।