চুয়াডাঙ্গা হরিশপুরে চাচার হাতে ভাতিজা খুন মামলা সিআইডিতে হত্যা মামলার আসামি প্রধান শিক্ষক জহির গ্রেফতার

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের হরিশপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক বছর আগে দূর সম্পর্কের চাচার হাতে খুন হয় ভাতিজা আব্দুর রাজ্জাক। পুলিশ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমাদিলে বাদী পক্ষ নারাজি দেয়। আদালত আলোচিত এ মামলাটি আবারও তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন। ঘটনার এক বছর পর সিআইডি পুলিশ তদন্তে নেমে রাজ্জাক হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী এবং অন্যতম আসামি সন্দেহে হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জহিরকে গ্রেফতার করে। এদিকে জহির গ্রেফতার হওয়ায় বাকি আসামিরা দিয়েছে গা ঢাকা।

২০১৫ সালের ১৬ মে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর দক্ষিণপাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাকে (৩২) জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে চাচা ইউনুচ গং। এ ঘটনায় রাজ্জাকের চাচা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বছির উদ্দীনের ছেলে ইউনুচ, গাজির রহমানের ছেলে আব্দুল কহেদ, আমির হোসেন, জামির হোসেন, জহির মাস্টার ও বক্সর ছেলে মহিদুলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত ভার পড়ে ততকালীন বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলামের ওপর। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। বাদী ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে পুণরায় লাশের ময়নাতদন্ত এবং সিআইডি তদন্ত দাবি করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রাজ্জাক হত্যা মামলাটি আরও তদন্তের জন্য চলতি বছর জানুয়ারি মাসে চুয়াডাঙ্গা সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন। রাজ্জাক হত্যা মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সিআইডি পুলিশ তদন্তে মাঠে নামে। অবশেষে এক বছর ১৬ দিন পর রাজ্জাক হত্যা মামলার নেপথ্যের নায়ক গাজি রহমানের ছেলে হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরকে গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে সিআইডি ইন্সপেক্টর আ. রহিম তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। গেফতারের পরপরই জহির মাস্টাকে আদালতে সোপর্দ করে সিআইডি পুলিশ। এ বিষয়ে সিআইডি ইন্সপেক্টর আ.রহিম বলেন, গ্রেফতারকৃতকে রিমান্ডে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করলেই রাজ্জাক হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে। এদিকে ঘটনার পরপরই পরিবারের থেকে অভিযোগ তোলা হয় আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং পুলিশি তদন্ত নিজেদের পক্ষে করে নেবের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাদের শঙ্কা মোতাবেক জহির মাস্টারকে হত্যা মামলার আসামি করা হলেও চার্জসীট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয় বলে মামলার বাদী জানায়। জহির মাস্টার গ্রেফতার হওয়ায় মামলার বাকী আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে সিআইড ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম বলেন, বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।