চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা না থাকায় চরম ভোগান্তি

 

সময়মত বিলে স্বাক্ষর না হওয়ায় মুজরি পায়নি কর্মসৃজন কাজের শ্রমিকরা

স্টাফ রিপোর্টার: জেলা উপজেলা পর্যায়ে যে সমস্থ উন্নয়নমূলক কাজ হয়ে থাকে তার দেখভাল ও মুজরি পরিশোধ হয়ে থাকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার চূড়ান্ত স্বাক্ষরে। বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) না থাকায় সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখভাল করা যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে তেমনি সময়মত কাজের চূড়ান্ত বিলে স্বাক্ষর না হওয়ায় অনেককেই পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। তারি ধারাবাহিকতায় বিলে সময়মত স্বাক্ষর না হওয়ার কারণে ৩ সপ্তাহ কাজ করেও মুজরি পায়নি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কর্মসৃজন কাজের শ্রমিকরা। ফলে অনেক শ্রমিক রোজা থেকে কাজ করে টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বর্তমান সরকার হতদরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং গ্রামীণ রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কাজ হাতে নিয়েছে। যে খাথে একজন শ্রমিক ২শ টাকা মুজরিতে সাপ্তাহে সরকারি ছুটির দিন বাদে ৫ দিন কাজ করার সুযোগ পাবে। আর এ কাজ করে সাপ্তাহের শেষ বৃহস্পতিবার  ব্যাংকে ১০ টাকার বিনিময়ে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের কাজের টাকা উত্তোলন করতে পারবে। প্রতি সাপ্তাহে টাকা তুলতে গেলে কাজ এবং ব্যাংকের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে বলে দুসাপ্তাহ পর শ্রমিকরা তাদের ১০ দিনের কাজের টাকা উত্তোলন করে থাকে। বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা না থাকায় উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না তা যেমন দেখা সম্ভব হচ্ছে না, আবার যে কাজ হচ্ছে নিদৃষ্ট সময়ে শ্রমিকেরা তাদের মুজরি পাচ্ছে না। তেমনি ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ক্ষেত্রে। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার না থাকায় ৩ সপ্তাহ ধরে কাজ করেও কর্মসৃজনের লেবাররা গতকাল বৃহস্পতিবার নিদৃষ্ট দিনে কাজের বিল উত্তোলন করতে পারেনি।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, বর্তমানে সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা উপজেলার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দায়িত্ব পালন করছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার কাজ ফেলে তিনি গতকাল চুয়াডাঙ্গাতে আসতে পারেননি। উপায় না পেয়ে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের কর্মসৃজন কাজের লেবারদের বিলে স্বাক্ষর করানোর জন্য কাগজপত্র নিয়ে আলমডাঙ্গাতে যেতে হয় প্রকল্প পিআইসদের। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার যখন বিলে স্বাক্ষর করছেন তখন ব্যাংকের সময় শেষ। ফলে শেষ সময়ে স্বাক্ষর হলেও বিল তুলতে পারনি কর্মসৃজন কাজের শ্রমিকরা। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত পিআইও) মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইলফোন রিসিভ করেননি।