চুয়াডাঙ্গা সদরের উকতো থেকে খাড়াগোদা পর্যন্ত চিত্রা নদী দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের উকতো থেকে খাড়াগোদা গ্রাম পর্যন্ত চিত্রা নদী দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। এ ব্যাপারে এলাকার বয়স্ক ব্যক্তি ও সচেতনমহল জানিয়েছে চিত্রা নদীটি এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী নদী।

জানা গেছে, দর্শনার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে দুধপাতিলা, দোস্ত, উকতো, কুন্দিপুর, কুকিয়াচাঁদপুর, নেহালপুর, বোয়ালিয়া, শ্রীকোল, জালশুকা, ফুলবাড়ি, বলদিয়া, বড়শলুয়া, তিতুদহ, গোষ্টবিহার, কালুপোল ও খাড়াগোদা গ্রাম থেকে কালীগঞ্জ হয়ে যশোর পর্যন্ত প্রবাহিত। ইতঃপূর্বে চিত্রা নদীতে বারো মাস পানি থাকতো। চিত্রা নদীর পাড় ঘেষে থাকা গ্রামগুলোর জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। দর্শনার উৎসমুখে কেরুজ চিনিকল স্থাপন করায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনাবৃষ্টির কারণে নদীটি প্রায় ৫/৬ মাস পানিশূন্য অবস্থায় থাকে। এ সুযোগে চিত্রা নদীর পাড় ঘেষে থাকা গ্রামগুলোর কিছু ভূমিদস্যু আরএস রেকর্ডের সময় অসাধু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় তাদের নামে রেকর্ড করে নিয়ে চিত্রা নদীতে বাঁধ দিয়ে ধানচাষ শুরু করে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভূমিদস্যুদের নিকট থেকে একের পর এক সরকারি বিল বাওড় ও খাসজমি উদ্ধার করলেও আজ পর্যন্ত চিত্রা নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে চিত্রা নদীটি ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষার জন্য হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতনমহল।