চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে অসংখ্য দুর্ঘটনা : এসআইসহ তিন জন নিহত : আহত শতাধীক

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ঈদের তিন দিনে অসংখ্য দুর্ঘটনায় বহু আহত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে পুলিশের এক এসআইসহ তিনজন। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গাতে বাসের ধাক্কায় শ্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধু দুর্ঘটনায় চালক গোলাম মোস্তফা (৪৫) নিহত হন। আহত হন ১৫ জন আরোহী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মদনাডাঙ্গা টেকনিক্যাল কলেজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা গাংনী উপজেলার পীরতলা গ্রামের নূর বকসের ছেলে। আহতরা হলো- একই গ্রামের বানেরা খাতুন, আনেকা খাতুন, মৌসুমী, জেসমিন, সাজেদা খাতুন, সেন্টু মিয়া, শাহা আলম, হাসান, সাথী খাতুন, আঁখি খাতুন, আহাদ আলী, কোকিলা, রাকিবুল ও হাসি খাতুন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

উদ্ধারকারী ও আহতদের স্বজনরা জানান- ঈদ পরবর্তী বিনোদনের জন্য গাংনী উপজেলার পীরতলা থেকে আলমসাধু যোগে মুজিবনগরে বেড়াতে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা টেকনিক্যাল কলেজের কাছে পৌঁছুলে কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস (পাবনা-জ-০৪-০০৩৭) আলমসাধুকে ধাক্কা দেয়। এতে আলমসাধুটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে।

অপরদিকে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের মোনাখালী নামকস্থানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের প্রথমে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন (৩০) ও একই গ্রামের আসাদের ছেলে পলাশ (২৫)।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেরাইল কলেজের সামনে গত সোমবার সকালে বাসের ধাক্কায় গরু বোঝাই নসিমন উল্টে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক গরুব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সেই সাথে আহত হয়েছেন নসিমন চালকসহ আরো ৪ জন। নিহত রফিকুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে ঈদের আগের দিন থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পৃথক ৬টি দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল ও নছিমন চালকসহ অন্তত ১৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনকে কুষ্টিয়া রেফার করা হয়েছে। বেপরোয়া গতিতে চলাফেরার কারণে এ দুর্ঘটনা বলে জানা গেছে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটইতে ঈদের দিন দুপুরে দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশের এসআই জাহিদ হাসান নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী সালমা আকতারসহ অন্য দুজন আহত হন। নিহত জাহিদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বহালবাড়ি গ্রামে। সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল জানান, কিছুদিন আগে ঝিনাইদহ সদর থানা থেকে নড়াইলে বদলি হন জাহিদ হাসান। স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে শ্বশুরবাড়ি শৈলকুপা উপজেলার হাবিবপুর  গ্রামে যাচ্ছিলেন জাহিদ।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় গত তিন দিনে আলমসাধু, নসিমন করিমন দুর্ঘটনার পাশাপাশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন। এদের মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।