চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ঢিলেঢালা হরতাল পালিত

স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতের ডাকা হরতাল চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশেই ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। হরতালে জনজীবন স্বাভাবিক থাকলেও দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে সারাদিনই আন্তঃজেলা বাস চলাচল করেছে। শহরের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা দেখা গেছে। অফিস আদালতে কাজকর্মও ছিলো স্বাভাবিক। স্কুল-কলেজে যথারীতি ক্লাস হয়েছে। জামায়াতে ইসলামি আগামী রোববারও হরতাল আহ্বান করেছে।

হরতালে জামায়াত-শিবিরের পিকেটাররা মাঠে দেখা না গেলেও শিবিরের ঝিনাইদহ শহর শাখার প্রচার সম্পাদক তামিম ইকবাল এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, হরতালের সমর্থনে শিবির বিক্ষোভ মিছিল করেছে। প্রেসবিজ্ঞপ্তির সাথে ভোরে তোলা দুটি ছবি পাঠিয়ে উল্লেখ করা হয় বিশ্ববরেণ্য আলেম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ষড়যন্ত্রমূলক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রথমদিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় শহরের যশোর-খুলনা মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে।

ঢাকা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেয়ার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা প্রথম দিনের হরতালে সাধারণ মানুষের সাড়া মেলেনি। হরতালের সমর্থনে দলীয় নেতাকর্মীদেরও কোনো তত্পরতা দেখা যায়নি। রাজধানীর জীবনযাত্রা ছিলো স্বাভাবিক।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডের প্রতিবাদে মেহেরপুরেও সকাল-সন্ধ্যা ঢিলেঢালা হরতাল পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে হরতালের কারণে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিলো। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, দোকানপাট খোলা ছিলো। হরতালের পক্ষে কাউকে কোনো মিছিল মিটিং কিংবা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, হরতালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি দু প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় চূড়ান্ত রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড আদেশের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে জামায়াত ইসলামীর ডাকা ২৪ ঘণ্টার হরতাল কুষ্টিয়ায় ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতালে জামায়াত ইসলামীর কোনো নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। তবে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলাচল করতে দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বা আভ্যন্তরীণ রুটে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। শহরে সিএনজি, ইজিবাইক, নসিমন-করিমন চলতে দেখা গেছে। দোকানপাট ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা অফিস বন্ধ ছিলো। জামায়াতের কোনো মিছিল-মিটিং বা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম বলেন, জামায়াতের হরতালে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন ছিলো। পাশাপাশি ৱ্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছিলো বলে তিনি জানান।