চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে ঝড়-বৃষ্টি : ব্যাপক ক্ষতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে গতকাল সন্ধ্যার পর ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গরমে পরশু রাতে স্বস্তির বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলার পর গতকাল সন্ধ্যার পর শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টির সাথে সাথে শুরু হয় ঝড়। থেমে থেমে কয়েক দফা ঝড় বৃষ্টিতে মাঠের পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতরাতেও বজ্রপাতের শব্দ পাওয়া গেলেও তাতে ক্ষয়ক্ষতির তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। ঝড়-বৃষ্টির সময় চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকে। শেষের দিকে কয়েক দফা আসা যাওয়ার পর অবশ্য বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এরপরও কিছু এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহে ত্রুটি দেখা দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বোশেখের ৫ দিনের মাথায় মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বুধবার রাতে বয়ে গেছে কালবোশেখি ঝড়। একই সাথে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়ো বাতাসে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে হালকা ঝড় ও মাঝারি বর্ষণের পর গতকাল সারাদিন আকাশ ছিলো মেঘাচ্ছন্ন। রাত সোয়া আটটার দিকে আকস্মিক ঝড় শুরু হয়। কালবোশেখি ঝড় কার্যত ধুলিঝড়ে পরিণত হয়। এর প্রায় ১৫ মিনিট পর শুরু হয় বৃষ্টিসহ ঝড়। ঝড়ের তীব্র গতিবেগ সেই সাথে তুমুল বর্ষণ চলছিলো। একাধারে তা চলে এক ঘণ্টার ওপরে। এর পরে কিছু বিরতির পর আবারো ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এর সাথে যোগ হয় ছোট-বড় বজ্রপাত।

এদিকে ঝড়-বৃষ্টিতে ধানচাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিশেষ করে আগাম ধানক্ষেতের বেশির ভাগ ধানগাছ মাটির সাথে নুইয়ে পড়েছে। গতরাত দশটার দিকে বিভিন্ন গ্রামের চাষিদের সাথে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে। অতিবর্ষণ ও ঝড়ের কবলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

এদিকে ঝড়-বৃষ্টিতে গাছপালারও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামে গাছের ডাল ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে স্বস্তিতে রয়েছেন পাটচাষিরা। গত দুই সপ্তার তীব্র খরতাপের পর কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি পেয়ে পাটক্ষেত সবুজে ভরতে শুরু করেছে। বোশেখের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাটের খুবই উপকার হবে জানান কয়েকজন পাটচাষি।

এদিকে ঝড় শুরুর পর থেকে গাংনী এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। কুষ্টিয়া গ্রিড থেকে গাংনী-বামন্দী উপকেন্দ্রের (সাবস্টেশন) বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে গাংনী ও আলমডাঙ্গা উপজেলা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে। গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত ছিলো। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সম্ভব হয়নি পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের।