চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের শহর গ্রাম ও পাড়ায় পাড়ায় প্রীতিভোজ

 

 

উৎসবের আমেজে ঝিমোলো উন্মাদনা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশেই বিশ্বকাপ ফুটবলের সমাপনী রাত যেনো উৎসবে রূপ নেয়। পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় শুধু পিকনিকেরই আয়োজন হয়নি, সমর্থকরা মুখে পতাকা একে, হাতে পতাকা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় পটকাও ফুটিয়েছে। মধ্যরাতে যখন খেলা শুরু হয় তখন, উন্মাদনায় মেতে ওঠা অন্ধ সমর্থকদের হৃদয়ে ছিলো পরাজয়ের দুরু দুরু ভয়। আর উৎসাহীদের মাঝে ছিলো বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগের আনন্দ।

গতরাতে ছিলো বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল। ল্যাটিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয় ইউরোপের জার্মানি। ব্রাজিলের সমর্থকদের অধিকাংশই গতরাতে জার্মানির পক্ষে অবস্থান নিলেও তাদের অনেকেই নেইমারের মতো আর্জেন্টিনার সমর্থক সেজে বসে। ফলে আর্জেন্টিনার সমর্থকের সংখ্যা বেড়ে যায়। শুধু উঠতি বয়সীদের মধ্যেই উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়নি, প্রায় সকল বয়সের সকল শ্রেণির মধ্যেই বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনা ছড়ায়।

বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে মাসব্যাপি ঘরে বাইরে শুধু উৎসাহই নয়, উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা যায়। ব্রাজিল শেষ চারে উঠলেও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায়ও গো হারা হেরে সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করেছে। তবুও চূড়ান্ত খেলা থেকে বঞ্চিত হবে কেন? একই পরিবারের একেক জন একেক দেশের সমর্থক হয়ে মাস জুড়েই নিজ নিজ পক্ষে যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে মেতেছে, মাতিয়ে তুলেছে। সেই উন্মাদনার সমাপনী কি নীরবেই পার হয়? হয়নি। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর ও শহরতলীতে কমপক্ষে অর্ধশত স্থানে রাতে রান্নাবান্না হয়েছে। কমপক্ষে ১৭টি স্থানে বড় পর্দায় সম্মিলিতভাবে খেলা দেখেছে। উত্তেজনা ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামের চেয়ে চুয়াডাঙ্গার মহল্লা মহল্লায় কম ছিলো না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রিন্সপ্লাজার সামনের এক ফুল দোকানি বললেন, সারাদিনে কমপক্ষে হাজার খানেক আর্জেটিনা সমর্থকের মুখে পতাকা একেছি। জার্মানির সমর্থকের সংখ্যাও কম পাইনি। সকলের মুখেই তাদের পছন্দের দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পক্ষে ছিলো শক্ত যুক্তি। রাতে পিকনিকের আয়োজনেই শুধু উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়নি, রাস্তায় রাস্তায় সমর্থকরা তাদের দলীয় জার্সিতে সেজে ঘুরেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের পিকনিকের রান্নার স্বাদ কেমন লেগেছে? দল হারলে কি আর খাবার মুখে ওঠে? এরকমও পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে ছেড়েছে দীর্ঘশ্বাস। বলেছে, বিশ্বকাপ ফুটবলের এই উন্মাদনার জন্য আবারও শুরু হলো টানা ৪টি বছর অপেক্ষার পালা।