চুয়াডাঙ্গা মসজিদপাড়ার তিন ভাইয়ের ইয়াবা ব্যবসা : পুলিশ একজনকে ধরেছে মোবাইল চুরির মামলায়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের মসজিদপাড়ার (বাগানপাড়া সংলগ্ন) সন্টু মিয়ার ছোট ছেলে রাজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে মোবাইলফোন চুরির মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে সদর থানা সূত্র। উদ্ধার করা হয়েছে একটি চোরাই স্মার্টফোন। তবে মসজিদপাড়া, বাগানপাড়া এলাকার একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা শহরের বর্তমানে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এই রাজন (২৪)। তাদের বাড়িতেই দিনরাত প্রকাশ্যে চলে ইয়াবা, নেশার ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি। এর সাথে জড়িত সন্টুর অন্য দুই ছেলে সুমন ও সুজন ওরফে সুজন খোঁড়া। পরিবারের নারী সদস্যদেরকেও মাদক সরবরাহ করতে দেখা যায়।

সূত্র জানিয়েছে, রাজনের তিন ভাইয়ের ইয়াবা ব্যবসা শুরু হয়েছে মাস দুয়েক আগে। প্রথম প্রথম চলতো অতি গোপনে। মাসখানেক তা হয়েছে একেবারেই খোলামেলা। দিনে-রাতে অন্তত ৩ শতাধিক মাদকসেবী সন্টুর বাড়ি যাতায়াত করে। মানসম্মানের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খোলেনি এতোদিন। গতকাল সন্টুর ছোট ছেলে রাজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয় দুই রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙিয়ে সুমন, সুজন, রাজন পরিবার চালাচ্ছে মাদকব্যবসা বলে অভিযোগ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে এই বাড়ি থেকে প্রতিদিন নিয়ে যাওয়া বখরা। স্থানীয় কয়েকজন এ বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়েছে বলে দাবি তুলেছেন, তবে গত দু মাসে অভিযুক্ত এই বাড়িটিতে তো নয়ই মসজিদপাড়ায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান লক্ষ্য করা যায়নি। গত শুক্রবার বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম সন্টুর বাড়িতে অভিযানের আগ মুহূর্তে জানতে পারে তার দুই ছেলে চুয়াডাঙ্গা শহরে নেই। ফলে স্থগিত করা হয় ওই অভিযান। মোবাইলফোন চুরির মামলায় পুলিশের হাতে শহরের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী রাজন ধরা পড়ার পর এলাকায় দাবি উঠেছে অন্যতম মাদকস্পটে নিয়মিত পুলিশি নজরদারির। একই সাথে এদের গত তিন মাসের ব্যাংক লেনদেনের হিসাব খতিয়ে দেখার ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস রাজনকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, রাজন যে ইয়াবা ব্যবসায়ী সে খবর আমাদের কাছে আছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।