চুয়াডাঙ্গা ডোমচরার আবদুল আলী সৌদি থেকে ফিরে পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে

পরিবারের দাবি সিঙ্গাপুরে পাওনা টাকা না দিয়ে জঙ্গি বলে অভিযোগ তুলে পুলিশে দিয়েছে কোম্পানি

স্টাফ রিপোর্টার: জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো চুয়াডাঙ্গার আব্দুল আলীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ডোমচরায়। সিঙ্গাপুর থেকে জঙ্গি সন্দেহে ফেরত পাঠানো ২৬ জনের একজন। ঢাকার টঙ্গী থানায় জঙ্গি সম্পক্তৃতা নিয়ে তার নামে একটি মামলায় গতপরশু গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গাতেও তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি কখনোই জঙ্গিদের সাথে হাত মেলাতে পারেন না। তিনি সংসারের অভাব তাড়াতেই প্রবাসে পরিশ্রম করতেন। বর্তমানে ৪২ বছর বয়স তার। তিনি সংসারের সচ্ছলতা আনতে সৌদি আরব যান। সেখানে ৯ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে কিছুদিন পর সিঙ্গাপুর যান। সম্প্রতি ওই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আব্দুল আলীর গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানতে পারেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, মোহাম্মদ আব্দুল আলীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ডোমচারা গ্রামে। বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় হলেও দেশে থাকাকালে বেশিরভাগ সময়ই তিনি ঢাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হওয়ায় দরিদ্র পরিবারে সচ্ছলতা আনতে সৌদি আরব যান মোহাম্মদ আব্দুল আলী।
গ্রামবাসী বলছেন, সৌদি আরবের পর সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ ১০ বছর অবস্থান করলেও ভাগ্যের চাকা তেমন পরিবর্তন করতে পারেননি আলী। দুই দফায় দীর্ঘ ২০ বছর প্রবাস জীবনের সঞ্চয় মাত্র দুই কক্ষবিশিষ্ঠ একটি বাড়ি। এরই মধ্যে আইএসর সাথে সম্পৃক্ততার খবরে বিস্মিত তার স্বজনসহ গ্রামের মানুষ। আব্দুল আলীর স্ত্রী রেখা খাতুন বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তারা আলীর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। মোবাইলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বেশ কয়েকদিন পর এক বন্ধু মারফত আটকের বিষয়টি জানতে পারেন। আলীর বৃদ্ধা মা আমিরুন নেছা ও বাবা রুস্তম মণ্ডল ছেলের জঙ্গি সম্পৃক্ততার খবরে বিস্মিত। তারা বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করলেই ছেলে নিরাপরাধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন। আলীর ছোট ভাই আব্দুল মজিদের দাবি, আলী সিঙ্গাপুরে যে কোম্পানিতে কাজ করতো সেই মালিকের কাছে বেতন-ভাতা বাবদ অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। টাকার জন্য চাপ দেয়ায় তাকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশে দেয়া হয়।