চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স ও গোয়ালন্দ ট্রেনে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে ৫ ব্যবসায়ী

সর্বস্ব খুইয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার: অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন যমজ দু’ভাইসহ ৫ জন। চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের চার যাত্রী ও গোয়ালন্দ মেলে পৃথক দুটি ঘটনায় এরা অজ্ঞান হয়। এদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইলফোন হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। অচেতন অবস্থায় পাঁচজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মুজামের দু’যমজ ছেলে হাবিল ও কাবিল, একই উপজেলার ধুতুরহাট গ্রামের আত্তাব মেম্বারের ছেলে রহিম ও ফরিদপুর জেলার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ঠাণ্ডু মিয়া ফল ব্যবসায়ী। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় গাবতলী থেকে তারা চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনে ওঠেন চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে। এ সময় তারা গাড়ির ভেতর থেকে ক্ষীরা কিনে খান। এরপর তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর মোড়ে নামিয়ে দেন বাসের লোকজন। পরে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অচেতনদের মধ্যে রহিমের জ্ঞান ফিরলে তিনি এসব তথ্য দেন। তবে তাদের কাছ থেকে কত টাকা প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে তা তারা বলতে পারছে না। রহিম জানান, ওদের কাছে অনেক টাকা ছিলো। টাকার লোভেই প্রতারক এক হকার ক্ষীরার সাথে চেতনা নাশক কিছু খাওয়ায় বলে তার ধারণা। তবে অন্য তিনজনের জ্ঞান না ফেরায় বিস্তারিত জানা যায়নি। অন্যদিকে গোয়ালন্দ ট্রেনে অজ্ঞানপার্টির খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন এক আম ব্যবসায়ী। যশোর কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামের নাসের গাজির ছেলে আম ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে খুলনা থেকে গোয়ালন্দগামী ট্রেনে ওঠেন। তিনি পোড়াদহ নেমে রাজশাহীর ট্রেনে উঠতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নওয়াপাড়া রেলস্টেশন এলাকায় এসে তিনি সেহরি খান। সেখান থেকে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। রশিদুল জানান, পাশের দুই যাত্রীর কাছ থেকে পানি খাওয়ার পরেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তার কাছ থেকে ৩২ হাজার ৭শ’ টাকা ও একটি মোবাইল হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে সকালে তাকে নামিয়ে দেয়া হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার ছেলে মাসুদ রানা সংবাদ পেয়ে গতকাল বিকেলে রশিদুলকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।