চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহের পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে দানা বেধেছে বিরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে দু জেলার বাস শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ দানা বেধেছে। গতপরশু শুক্রবার ঝিনাইদহের এক বাসচালককে মারধরের পর মীমাংসা হলেও গতকাল তার জেরে চুয়াডাঙ্গার কমপক্ষে ৪ জন শ্রমিককে মারপিটের শিকার হতে হয়েছে। এরপর গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালের অদূরে বাস আড় করে দিলে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা রুটে বাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য দূরপাল্লার কোচ চলেছে। সমঝোতার লক্ষ্যে দু জেলার নেতৃবৃন্দ আজ বৈঠকে মিলিত হতে পারেন।
জানা গেছে, গতপরশু শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালে উত্তরা পরিবহনের চালকের সাথে শাপলা এক্সপ্রেসের কয়েক হেলপার-চালকের সাথে মতবিরোধ দেখা দেয়। উত্তরা পরিবহনের চালকের বাড়ি ঝিনাইদহে। তিনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। পরে অবশ্য নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসাও হয়। এরপরও গতকাল হাটগোপালপুরে চুয়াডাঙ্গার বাসচালক আতিয়ার ও সুপারভাইজার শামীমকে ঝিনাইদহের নগরবাথানে মারধর করা হয়। মারপিটের শিকার হয়ে গাড়ি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালে পৌঁছে বাস সড়কে আড় করে দিয়ে মারপিটের বিচার দাবি করতে থাকেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ দ্রুত টার্মিনালে পৌঁছে আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। শ্রমিক অসন্তোষ রোধেরও চেষ্টা চালাতে থাকেন। অথচ ঝিনাইদহের হাটগোপালপুরে রয়েল এক্সপ্রেস ও পূর্বাশার দুজন হেলপারকে মারধর করা হয়েছে বলে খবর চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছুলে উত্তেজনার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে বাস চলাচল পড়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে। তবে সাময়িক সমঝোতায় দূরপাল্লার কোচ গতকাল চলেছে। আজ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হলে আবারও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকেরই আশঙ্কা।