চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুরের শৈলগাড়ি গ্রামে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু : দাফনের চেষ্টা পুলিশের বাধায় প- হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন 

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের শৈলগাড়ি গ্রামের গৃহবধূ রুমানার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী দাফনের চেষ্টা করলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বাধা প্রদান করে। প- হয়ে যায় লাশ দাফনের প্রক্রিয়া। দুপুরে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।  জানা গেছে, গত ২০ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কাথুলী গ্রামের ফতে আলীর মেয়ে রুমানার বিয়ে হয় শৈলগাড়ি গ্রামের সমিরের সাথে। তাদের পরিবারে রয়েছে দুটি সন্তান। গতকাল সোমবার ভোররাতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী সকাল ১০টার দিকে লাশ দাফনের প্রক্রিয়া করে। সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ দাফনে বাধা প্রদান করে। প- হয়ে যায় দাফন প্রক্রিয়া। এ ব্যাপারে রুমানার চাচাতো ভাই হুমায়ন অভিযোগ করে বলেন, বোনাই সমির রুমানাকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও ও সমিতি থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে। সেই ঋণের টাকা থেকে বাঁচতে রুমানাকে গলা টিপে হত্যা করেছে সমির। চোখে ও শরিরে প্রহারের চিহৃ রয়েছে। জিবাহ বাইরে বেরিয়ে ছিলো। আমিই পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ করি। রুমানার প্রতিবেশী ও গ্রামবাসী জানায়, রুমানা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ভোররাতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তবে তার মৃত্যু রহস্যজনক।  এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোহাম্মদ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুরতহাল রিপোর্ট করেছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযোগ যেখানে নেই, সেখানে সুরতহাল রিপোর্টের প্রশ্ন আসে না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।