চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে ঢাকায় তলব

 

 

দু পক্ষের এক পক্ষ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার এবং অপর পক্ষ জানাতে পারে গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে ঢাকায় তলব করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দলের চেয়ারপার্সনের গুলশানস্থ কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য টেলিফোনে বার্তা দিয়েছেন দলটির যুগ্মমহাসচিব সালাউদ্দীন আহমেদ।

ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে হাজিরের সেলফোন বার্তা পেয়ে গতরাতেই বেশ ক’জন বিএনপি নেতা ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন। সেহরি শেষে মাইক্রোবাসযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন আরো কয়েকজন। ভোরের কোচও ধরছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনেকে।

সূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গঠনের লক্ষ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে আহ্বায়ক, যথাক্রমে মাহমুদ হাসান খান বাবু, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, খন্দকার আব্দুল আব্দুল জব্বার সোনা ও মজিবুল হক মজুকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৫১ সদস্যের গঠিত কমিটিতে সাবেক সভাপতি হাজি মো. মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুকেও রাখা হয়। আহ্বায়ক কমিটি পরিচিতিসভার মধ্যদিয়ে কমিটির ওপর অর্পিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুরুতেই অবশ্য জেলা বিএনপির ইউনিটগুলোর আহ্বায়ক কমিটির বদলে মূল কমিটি গঠন করে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। তাছাড়া আহ্বায়ক কমিটির দুজনের নাম আহ্বায়ক বদলে তার পছন্দের দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলেও অভিযোগ উত্থাপন হয়। এসব বিষয়ে অভিযোগ উত্থাপন করেন আহ্বায়ক কমিটির একাংশ। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেশ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। অপর অংশ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে। ইতোমধ্যেই আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এবং পৌর সম্মেলন সম্পন্ন করেছে। এরই মাঝে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে সাংবাদিকদের জানান জেলা আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। তিনি অভিযোগ এবং তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি অস্বীকার করার একদিন পরই কেন্দ্রের তলব এলো। মোবাইলফোনে ঢাকার গুলশান অফিসে আজ মঙ্গলবার ৩টার মধ্যে উপস্থিত হওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই অনেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির দু পক্ষের একাধিক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এক পক্ষ বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির এ পর্যন্ত কার্যক্রম বাতিল করে নতুন করে নির্দেশনা চাইতে পারে, অপর পক্ষ নিজেদের কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা তুলে ধরে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাতে পারে।