চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনায় বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ

 

বিচারকাজে আইনজীবীদের বিরাট ভমিকা রয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন,বার ও বেঞ্চের মধ্যে কঠিন সম্পর্ক থাকতে হবে। তা না হলে বিচারকাজ পরিচালনা সম্ভব নয়। বিচারকাজে আইনজীবীদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আইনজীবী কোর্টকে সহযোগিতা করলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির দেয়া সংবর্ধনার জবাবে সংবর্ধিত প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ আরো বলেন, ‘দামুড়হুদা সহকারী জজ আদালতের বিচারকের পদ ১৪ বছর ধরে ও আলমডাঙ্গায় সহকারী জজ না থাকায় বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে দেখা হবে। এছাড়া,নকলখানায় যে সকল সমস্যা আছে,সেগুলো জেলা ও দায়রা জজকে দেখতে হবে। মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দিতে হবে ও বিচারক এজলাসেই বলে দেবেন। সেইসাথে জামিনের সিদ্ধান্তের বিষয়টিও তাৎক্ষণিক বিচারক বলে দেবেন।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএম শাহজাহান মুকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেনসিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. মো. আব্দুল গফুর। প্রধান অতিথির হাতে ফুলের বুকেট তুলে দেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. মনসুর উদ্দিন মোল্লা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনসাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন পিপি,মোল্লা আব্দুর রশিদ জিপি ও সাবেক সভাপতি এসএম ইমদাদ হোসেন।

আইনজীবীদের পক্ষ থেকে চিফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন নির্মাণ,দামুড়হুদার সহকারী জজের বরখাস্তের বিষয়টি নিষ্পত্তিসহ বিচারক পদায়ন ও আলমডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতের বিচারক নিয়োগসহ নকলখানার অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী চুয়াডাঙ্গার আদালতে বিচারক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন,দুজন বিচারক চেয়ে পত্র পাঠানো হয়েছিলো। ইতোমধ্যে একজন সহকারী জজ যোগদান করেছেন। বাকি বিচারক যাতে দ্রুত পদায়ন করা হবে বলে আশ্বাস পাওয়া গেছে। বিলম্বিত দেওয়ানী মামলার বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কোর্টের কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পারষ্পরিক সহযোগিতা বজায় রাখতে হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনঅতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) মো. নাজির আহমেদ,চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মমতাজ পারভীন,অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) গোলক চন্দ্র বিশ্বাস,যুগ্মজেলা ও দায়রা জজ (১) মো. ইয়ারব হোসেন,যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২) মো. আব্দুর রহিম,সিনিয়র সহকারী জজ (চুয়াডাঙ্গা সদর) সরদার সাজ্জাদুর রহমান,সহকারী জজ (জীবননগর) মো. সাজেদুর রহমান,সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ ম আদালত) শেখ মো. আমীনুল ইসলাম,সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২য় আদালত) মো. তৈয়ব আলী ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম ও ২য় আদালত ) মো. আব্দুল হালিম।