চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে পৃথক স্থানে দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহীসহ নিহত ২

 

 

মনোহরপুরে বাসের সাথে ওষুধ বহন করা কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ : জয়রামপুর কাঁঠালতলায় মাইক্রোবাসের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা

জীবননগর ব্যুরো/দর্শনা অফিস:চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে পৃথক দুঘর্টনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন একটি ওষুধ কোম্পানির কাভার্ডভ্যানের চালক ও অপরজন মোরসাইকেল আরোহী। মোটরসাইকেল আরোহী দামুড়হুদার নাস্তিপুরের রশিদ চৌধুরী। তিনি নিহত হন জয়রামপুর কাঁঠালতলা মোড়ের অদূরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায়। আর কাভার্ডভ্যান জীবননগর মনোহরপুরে বাসের সাথে ধাক্কা মারে। এতে চালক মনিরুল ইসলাম নিহত হন। আহত হয়েছেন এক মহিলাসহ ৪ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী একটি বাস ও এডুক ফার্মার জরুরি ওষুধ সরবরাহকারী একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের চালক পাবনা জেলার চালঘরিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৩১), তার সহযোগী ইমন (৩৫) এবং বাসযাত্রী ঝিনাইদহ জেলার ডাকবাংলা গ্রামের মকসেদ আলীর স্ত্রী উরনি বেগম (৬০) গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় এদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে কাভার্ডভ্যানের চালক মনিরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বেলা ১২টার দিকে যশোর নেয়ার পথিমধ্যে মনিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

‌                স্থানীয়রা বলেছে, মনোহরপুরে চিড়া মিলের সামনে যাত্রীবাহী একটি আলমসাধুকে সাইড দিতে গিয়ে বাসটি এ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যায়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজ গুরুতর আহত কাভার্ডভ্যানের চালক মনিরুলসহ অন্যদেরউদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে দামুড়হুদার জয়রামপুরের মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটলো বিপত্তি। মাইক্রোবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দামুড়হুদার নাস্তিপুরের রফিকুলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর স্কুলপাড়ার আফতাব চৌধুরীর ছেলে রফিকুল চৌধুরী (৫০) ও সোনা চৌধরী মোটরসাইকেলযোগে গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদায় যাচ্ছিলেন। সোনা চৌধুরী মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন পেছনে বসে ছিলেন রফিকুল চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামকস্থানে পৌঁছুলে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়েন রফিকুল। মাইক্রোবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে রফিকুল মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় রফিকুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নেয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রফিকুল। ৩ সন্তানের জনক রফিকুলের লাশ বিকেলে গ্রামে আনা হলে স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। গোটা গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় গোরস্তানে বেদনা বিধুর পরিবেশে রফিকুলের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।