চুয়াডাঙ্গা ছয়ঘরিয়ার কলেজছাত্র শিমুল হত্যার ১৪ দিন অতিবাহিতহাসানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ ১৪ দিনেও চুয়াডাঙ্গা ছয়ঘরিয়ার মেধাবী কলেজছাত্র শিমুল হত্যামামলার আসামি হাসানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে যেমন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী তেমনি এলাকাবাসী মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। হাসান আলমডাঙ্গায় তার আত্মীয় বাড়িতে আত্মগোপন করেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া কচুখালী পাড়ার মেধাবী কলেজছাত্র শিমুল গত ৭ ফেব্রুয়ারি পিকনিক শেষে কোমল পানীয় খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় শিমুলের আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে শিমুলের বন্ধু সেকেন্দারকে সন্দেহ করে আটকে রাখে গ্রামবাসী। পরদিন ভোরে ছয়ঘরিয়া মুচিতলার মাঠে শিমুলের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ লাশ উদ্ধার করার পাশাপাশি সেকেন্দারকে আটক করে থানায় নেয়।

শিমুল হত্যামামলার অপর আসামি হাসানকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে না বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন। সেকেন্দারকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে না দিলে হয়তো তাকেও গ্রেফতার করতে পারতো না পুলিশ।

হাসানকে গ্রেফতারের জন্য এলাকাবাসী গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরোজগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন করে। সেখান থেকে ৭দিনের মধ্যে হাসানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলে এলাকাবাসী বৃহত আন্দোলনেরও ঘোষণা দেয়। ৭দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শিমুলের এক আত্মীয় জানান যেকোনো সময় আমরা এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আবারও আন্দোলনে যাবো।

বাদীপক্ষ অভিযোগ করে বলে শিমুল হত্যার ৩/৪ দিন পর্যন্ত হাসান তার নানাবাড়ি খাসকররা এলাকায় অবস্থান করছিলো। হাসানের পিতা আব্দুল মজিদ পরে তাকে খাসকররা থেকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। হাসানের পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সন্ধান মিলবে বলে গ্রামবাসীসহ সচেতনমহলের অভিমত।