চুয়াডাঙ্গা আদালত চত্বরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর সাথে বাদীপক্ষের ধস্তাধস্তি : পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আদালত চত্বরে একটি বিচারাধীন মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবীর সাথে বাদী পক্ষের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত কণ্ঠশিল্পী নিজাম মাহমুদকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, মামলার কাগজপত্র জোর করে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয়ায় মামলার আসামির আইনজীবী ও তার নিকটাত্মীয় অ্যাড. আসলাম উদ্দীন কিলঘুষি মেরে আহত করেছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসলাম উদ্দিন বাদী চুয়াডাঙ্গার বাগানপাড়ার বাসিন্দা নাজনীন নাহার বেলী এবং তার পিতা নিজাম মাহমুদ, দু ভাই তালাত মাহমুদ ও ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে জেলা আইনজীবী সমিতিতে ঘটনার বিবরণসহ লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

লিখিত অভিযোগে অ্যাডভোকেট আসলাম উদ্দিন উল্লেখ করেছেন, গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গার সহকারী জজ আদালতের একটি মামলা (মামলা নং পারিবারিক ৮৭/১৩) যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। একপর্যায়ে আসলাম উদ্দিন টেবিলে নথি রেখে জেলা জজ আদালতে অন্য একটি মামলার জন্য যান। ঘুরে এসে দেখেন আলোচিত পারিবারিক মামলার নথিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একপর্যায়ে তা নিজাম মাহমুদের পকেটে দেখতে পাওয়া যায়। এরপর নথি কীভাবে তার পকেটে গেছে জানতে চাইলে নিজাম মাহমুদ ও তার ছেলেমেয়েরা ওই আইনজীবীর ওপর চড়াও হন। এ সময় কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। বিষয়টি গতকাল জেলা আদালত চত্বরে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়। জানতে চাইলে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএম শাহজাহান মুকুল জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন।

এদিকে নিজাম মাহমুদ বলেছেন, আমার মেয়ে নাজবীন নাহার বেলীর সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের রাঙ্গিয়ারপোতার আব্দুর রহমানের ছেলে কবিরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এদের সংসারে এক সন্তান আসে। সন্তান উৎসবের বয়স বর্তমানে ৬ বছর। যৌতুকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতন ও খোরপোশ সংক্রান্ত একাধিক মামলা করা হয়। বুধবার একটি মামলার ধার্যদিন ছিলো। এদিনে হাজিরা দেয় মামলার বাদী বেলি। আমি আমার সন্তানের সাথে আদালতে যাই। এ সময় মামলার আসামি কবিরের আইনজীবী ও তার নিকটাত্মীয় আমার নিকট থেকে মামলার কাগজ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে আমাকে কিলঘুষি মারে। রক্তাক্ত জখম হই।