চুয়াডাঙ্গায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু

 

 

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিক শিক্ষক পুল নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকগণের ছুটি ও প্রশিক্ষণজনিত কারণে সৃষ্ট সাময়িক ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রাখতে পুলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ১শ২১ জন শিক্ষককে পুলভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২৫ জন, আলমডাঙ্গায় ৪৭ জন, দামুড়হুদায় ৩২ জন ও জীবননগরে ১৮ জন শিক্ষককে মেধাক্রম অনুযায়ী নির্বাচন করা হয়েছে। এজন্য জীবননগর উপজেলায় মেধাক্রমের ভিত্তিতে পুলভুক্ত তিনজন শিক্ষককে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এরা হলেন, মারুফদহ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে গোলাম মোস্তফা, আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আক্তারুজ্জামান ও মারুফদহ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইফুল ইসলাম। নির্বাচিতদেরকে আগামী ৩০ জুন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয়ে বেলা ১০টার দিকে মূল সনদপত্র এবং ১৫০টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পসহ উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়েছে।

২০১১ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু নিয়োগ পাননি এমন প্রার্থীদের নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পুল গঠন করা হয়েছে। পুলভুক্ত শিক্ষকগণ মেধাক্রমের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৬ মাসের জন্য সাময়িকভাবে নিযুক্ত হবেন এবং মাসিক ৬ হাজার টাকা হারে সম্মানি/ভাতা পাবেন। সাময়িক শূন্য পদ বলতে মাতৃত্বকালীন ছুটি ও বহির্বাংলাদেশ ছুটিসহ উচ্চ শিক্ষা, হজব্রত, তীর্থ যাত্রা, চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণজনিত কারণে নিয়মিত শিক্ষকের অনুপস্থিতিকালীন সাময়িকভাবে শূন্য হওয়া শিক্ষকের পদ বুঝাবে। সাময়িক শূন্য পদে নিযুক্তি কোনো অবস্থাতেই নিয়মিত নিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না এবং স্থায়ী চাকরি প্রদানের নিশ্চয়তা বিধান করবে না। প্রাথমিক শিক্ষক পুলভুক্ত শিক্ষকদের দায়িত্বে নিযুক্তি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রত্যেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক পুল কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের মনিটরিং কর্মকর্তা (এমও) আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সাময়িকভাবে নিযুক্ত পুলভুক্ত শিক্ষকগণ আগামী জুলাই মাস থেকে পাঠদান শুরু করবেন।’