চুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়লো ভালাইপুর হাটে: মাছবিক্রেতা গঙ্গা নিহত :চালকসহ আহত ১৯

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ভালাইপুর হাটে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়েমৎস্য হাটে ঢুকে পড়লে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত গঙ্গা হালদারের বাড়ি দামুড়হুদার কালিয়াবকরী গ্রামে। তিনি ওই হাটে মাছ বিক্রি করছিলেন। এ ঘটনায় চালকসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ৮ জনই ভালাইপুর হাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ক্রেতা। এর মধ্যে ৪ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুরে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

সূত্র জানায়, শিশির পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো জ ১৪-০৫৪৯) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে ভালাইপুর মাছ হাটে ঢুকে পড়ে। এ সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হুজুগপাড়ার ইসাহাক আলী (৬০),ভালাইপুর গ্রামের মিনারুল ইসলাম (২৮), ঝোড়াঘাটার রিফাত হোসেন (১২),দামুড়হুদা উপজেলার দলকা লক্ষ্মীপুরের কাবিল হোসেন (২৮),আলমডাঙ্গা উপজেলার গোপীনাথপুরের শহিদুল ইসলাম (৩০),গোকুলখালীর বাবুল হোসেন (২৮), কুলপালা গ্রামের জাকির হোসেন (৩২),মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুরের কালু মিয়া (৩৫) এবং বাসচালক মেহেরপুরের আজমত আলী (৪০)। আহত বাসচালক একটি বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সটকে পড়েন। বাকিদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর শহিদুল, বাবুল, মিনারুল ও কালু মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে এ ঘটনায় মোট ১৯ জন আহত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

সূত্র জানায়, মেহেরপুর থেকে ছেড়ে আসা বাসটি রাজনগরে পৌঁছুলে তার অ্যাক্সেল কেটে যায়। গাড়ির চালক ঝুঁকি নিয়েই চালিয়ে আসছিলেন। গোকুলখালী পুলিশ ক্যাম্পের কাছে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে গেলেও সামান্যের জন্য বেঁচে যায়। এরপর লেট ফি বাঁচানোর জন্য গাড়ির চালক দ্রুত গতিতে বাসটি চালানোর চেষ্টা করেলে স্ট্রেয়ারিং কেটে ভালাইপুর মৎস্য হাটে ঢুকে যায়। কালিয়াবকরী গ্রামের রাজকুমার হালদারের ছেলে নিহত মাছ বিক্রেতা গঙ্গা হালদারকে (৩০)সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হলে রাত সাড়ে আটটায় তিনি মারা যান।