চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন মাদরাসা মসজিদের নামে রশিদ ছেপে টাকা আদায়

 

 

তিন বন্ধু আটক : উত্তম-মধ্যম দিয়ে অভিভাবকের জিম্মায়

স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা ও পাঠাগারের নামে দান-খয়রাত তুলে নেশা করে বেড়ায় তিন বন্ধু। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ কর্ম করলেও রমজান মাসে তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গতকাল বিকেলে একটি ভুয়া পাঠাগারের চাঁদা আদায়ের রশিদসহ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সামনে থেকে কয়েকজন তাদেরকে আটক করে। পরে তাদের উত্তম-মধ্যম দিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার কিয়াম আলীর ছেলে ইস্রাফিল হোসেন (৩০), কেদারগঞ্জপাড়ার মৃত রিকশাওয়ালা ফদুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৬) ও বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়ার হোসেন আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮) দীঘদিন ধরে প্রতারণা করে টাকা-পয়সা আদায় করে বেড়ায়। এই তিন বন্ধু এলাকার চিহ্নিত নেশাখোর বলে জানায় এলাকাবাসী। গতকাল তারা হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রা.) ইসলামি পাঠাগারের ভুয়া রশিদ নিয়ে দান-খায়রাত আদায় করছিলো। চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা টাকা তোলার পর বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় জনৈক ব্যক্তির কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তার সন্দেহ হয়। তিনি যাচাই বাছাই করে দেখতে গিয়ে আসল রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। তাদের এলাকার অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ওরা এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী। দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবে টাকা-পয়সা তুলে নেশা করে বেড়ায়। এরপর তাদেরকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা মাদরাসাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে উত্তম-মধ্যম দিয়ে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। দিন দশেক আগেও বুজরুক গড়গড়ি দারুল উলুম মাদরাসার নামে ছাপা রশিদ নিয়ে ওই তিন বন্ধু চুয়াডাঙ্গা ভি.জে স্কুলরোডে টাকা আদায় করতে গিয়ে আটক হয়। সেদিনও তারা ক্ষমা চেয়ে পার পায়। গতকালও তারা জনসম্মুখে জানায়, এ ধরনের প্রতারণা আর করবে না।