চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে সর্প দংশনের রোগী : হাসপাতালে নেই অ্যান্টিস্নেক ভেনম

 

স্টাফ রিপোর্টার: বর্ষা মরসুম শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে সাপের উৎপাত। এদিকে বর্ষা মরসুম শুরু হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এখনও দেখা মেলেনি সর্প দংশনে রোগীর প্রতিষেধক অ্যান্টিস্নেক ভেনম ইনজেকশন। রোগীদের পরিবারকে বাইরে থেকে চড়া মূল্যে কিনতে হচ্ছে অ্যান্টিস্নেক ভেনম ইনজেকশন। চাহিদাপত্র দিলেও এখনও তা হাতে পায়নি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার চারজনকে সর্প দংশনের শিকার রোগীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছে।

পারিবারিক ও হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নের ঘোষবিলা গ্রামের নজিবুল ইসলামের স্ত্রীকে গতপরশু বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষাক্ত একটি সাপ তাকে দংশন করে। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একরেমা খাতুনের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে প্রথমে তার শরীরে ১০ অ্যাম্পুল অ্যান্টিস্নেক ভেনম ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে রাত ৮টা পর্যন্ত একরেমা খাতুনের শরীরে ২৯ অ্যাম্পুল ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়েছে। যার মুল্য ২৯ হাজার টাকা।

এদিকে আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়নের কেদারনগর পূর্বপাড়ার মৃত ভাদু মণ্ডলের ছেলে ছমির আলীকে (৪৫) গতকাল সকাল ৮টার দিকে একটি জমিতে ধানের চারা উঠানোর সময় সর্প দংশন করে। ছমির আলীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ডিঙ্গেদহের খেজুরা গ্রামের জোয়ার্দ্দারপাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে মোহাইমিনুল ইসলাম তাজকে (২১) গতপরশু রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় সর্প দংশন করে। তাজ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র। রাতেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিয়াম ইসলাম (১১) নামের এক স্কুলছাত্রকে সর্প দংশন করে। সে বাড়ির উঠোনে খেলছিলো। সিয়াম চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সাতগাড়ি নতুনপাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা এমএ বারী স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।