চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পুলিশ সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।
পুলিশ জানায়, পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশের একটি বিশেষ দল জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালায়। এতে সদর উপজেলা থেকে ৭ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে ১০ জন, দামুড়হুদা উপজেলা থেকে ৯ জন ও জীবননগর উপজেলা থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় নাশকতা মামলাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
জীবননগরে মেদিনীপুর গ্রামের রবিউল বিশ^াসের ছেলে সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ওয়াহেদ বিশ^াসকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার সাব ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সাদা পোশাকধারী পুলিশ গয়েশপুর গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ জাহাঙ্গীর রাজাকে (৩৮) একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। অন্যদিকে পুলিশের অপর একটি দল বিকেলে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর আতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করেন। আতিয়ার রহমান বেনীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার মামলায় রায়কে ঘিরে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুত্র জানিয়েছেন।
আলমডাঙ্গার থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতিডাঙ্গা গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে বিএনপি কর্মী জামাল উদ্দিন (৫০), একই গ্রামের মৃত জুলমত আলী মোল্লার ছেলে বিএনপি কর্মী কফিল উদ্দিন (৪৮) ও শালিকা গ্রামের সার্থক আলীর ছেলে জামায়াত নেতা ইউনুস আলী (৬৪) কে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা নাশকতার পরিকল্পনার সাথে জড়িত রয়েছে। আটককৃতদের বুধবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।