চুয়াডাঙ্গায় দাখিল ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রাক-প্রাথমিকের বই পৌঁছেনি

শিক্ষার্থীরা হতাশ : কর্মকর্তারা জানালেন যোগাযোগ চালু হলেই বই পৌঁছবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা বই হাতে পেলেও দাখিল, ইসলামিক প্রাক-প্রাথমিক ও বয়স্ক শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ২০১৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই এখনো পায়নি। ফলে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এদিকে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, বই তৈরি থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধার কারণে বই পৌঁছুতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে শিগগিরই বই এসে পৌঁছুবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, গণিত, ইংরেজি, সমাজ, বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম, হিন্দু ধর্ম ও  খ্রিস্টান ধর্মের বইয়ের চাহিদা ছিলো ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৫টি। চাহিদার বিপরীতে সকল বই পাওয়া গেলেও বিতরণ করা হয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৩৪টি।

মাধ্যমিক পর্যায়ে বইয়ের মোট চাহিদা ছিলো ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৯টি। এর বিপরীতে বই পাওয়া গেছে ৯ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৬টি। ইবতেদায়িতে বইয়ের মোট চাহিদা ছিলো ৮৭ হাজার ৭০৫টি। এর বিপরীতে বই পাওয়া গেছে ৬৫ হাজার ৯০টি। এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় বইয়ের চাহিদা ছিলো ২১ হাজার ৯৯০টি। সেখানে পাওয়া গেছে ১৬ হাজার ৯০৭টি। তবে দাখিলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির একলাখ ৫০ হাজার ২২৫টি বইয়ের মধ্যে একটি বইও আসেনি।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের ২১৪টি কেন্দ্রের প্রাক-প্রাথমিক ও ১২টি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের জন্য মোট বইয়ের চাহিদা ছিলো ১৩ হাজার ২২০টি। এ খাতে একটি বইও এসে পৌঁছেনি। তবে চক, শ্লেটডাস্টার ও বলপেন কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম জানান, গত ২ জানুয়ারি টোকেন হিসেবে তিন-চারজনকে ছাত্রছাত্রীকে বই দেয়া হয়েছিলো। বইগুলো ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিলো। যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ঢাকা থেকে বই আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ সময় পাঠদান অব্যাহত রাখতে পুরোনো বই দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হলে বই পাওয়া যাবে এবং পাওয়ার সাথে সাথেই বিতরণ করা হবে।