চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু : দানা বেধেছে প্রশ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতি হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডায়রিয়া রোগী এখনও মারা যায়। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অবশ্য ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেও পরে রোগীকে অন্যান্য সমস্যায় ভুগছিলো বলে দেখানোর গোপন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ১৫ বছর বয়সী কিশোরী কন্যা শারমীন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। গতপরশু সোমবার তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে পানিশূন্যতায় মারা গেলে হতবাক হন স্বাস্থ্য সচেতনমহল। যদিও ডায়রিয়া রোগী ডায়রিয়া ওয়াডে মারা গেলেও রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে রেফার দেখানো হয়। এ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
ডায়রিয়া রোগে এক সময় গণহারে মানুষ মারা গেলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে সাথে এ রোগের চিকিৎসাও এসেছে চিকিৎসকদের হাতে। পানিশূন্যতা রোধে সেলাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি সেলাইন দেয়া হলে রোগীর মৃত্যু থেকে রক্ষা করা অসম্ভব নয়। এরপরও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরও কেনো রোগীর মৃত্যু? সহজ প্রশ্নের প্রকৃত জবাব পেতে সুষ্ঠু তদন্ত যেমন দরকার, তেমনই চিকিৎসা সেবাদানে কোনো প্রকার অবহেলা ধরা পড়লে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায় এ ধরণের অপমৃত্যুর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।