চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের আলোচনাসভায় জেলা ও দায়রা জজ

 

তৃতীয় পক্ষ হিসেবে জাতীয় আইনগত সহায়তা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ‘বিরোধ হলে শুধু মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপসও হয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৭ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আইনজীবী সমিতিতে এসে শেষ হয়। সেখানে জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, যুগ্ম জেলা জজ আব্দুর রহিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মহ. শামসুজ্জোহা, মোল্লা আব্দুর রশিদ-জিপি, বারের সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান, আলমগীর হোসেন ও এমএম শাহজাহান মুকুল। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন আলমডাঙ্গা সহকারী জজ সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, ডা. এহসানুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলক কুমার মণ্ডল, বিএমএ সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে আইনজীবী সমিতি চত্বরে লিগ্যাল এইড মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সকালে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও পরামর্শ দেয়া হয়। এসময় চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতি সহযোগিতা করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলা জজের সহধর্মীনি দিলরুবা আক্তার, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক ও জীবননগর সহকারী জজ ফারিহা নোশীন বর্নীসহ স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কবিতা আবৃত্তি করেন অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান। লিগ্যাল এইড মেলায় জাতীয় আইনগত সহায়তার একটি স্টলসহ মোট ৮টি স্টল অংশগ্রহণ করে।

আলোচনাসভায় জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম বলেন, অসহায় মানুষ মামলা করতে আসলে ব্যয়ভার বহন করতে পারে না। একটি বিষয় একদিনে প্রতিষ্ঠা হয় না। প্র্যাকটিসের মধ্যে আনতে হয়। আমরা অসহায় মানুষকে সহায়তা করতে পারবো। উচ্চ আদালত থেকে জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দরিদ্র মানুষদেরকে যে লিগ্যাল এইড সেবা দিচ্ছে, তা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কেউ যদি অধিকার বঞ্চিত হয় তাহলে আইনগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দু পক্ষের বিরোধ থাকলে মিটাতে পারে না। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে জাতীয় আইনগত সহায়তা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় কিভাবে আরও সম্প্রসারিত করা যায় তা পরিকল্পনা করা হবে। ব্যক্তিগতভাবে কিছু প্রস্তাব এসেছে এমুহূর্তে সেবিষয়ে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আইনগত সহায়তা দিবো। মামলা জিতিয়ে দেবো না। আপনারা জাতীয় আইনগত সহায়তার বিষয়টি ছড়িয়ে দেন। তবেই বিচারের মাধ্যমে আমরা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। আমরা কমিটেড ন্যায়ভিত্তিক, সমৃদ্ধশালী, সাংস্কৃতিকবান ও অর্থনৈতিক বুনিয়াদভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।  তাহলে দিবসের সার্থকতা হবে।