চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের হাতে প্রাইভেটকারসহ ফেনসিডিল আটক : অতপর…….

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি ফাঁড়িপুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রাইভেটকারসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। অতপর সুচতুর ড্রাইভার প্রাইভেটকার নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় আটক দুজনকে। বিষয়টি জানাজানি হলে হিজলগাড়ি এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালান হিজলগাড়ি বাজারে। এ সময় পুলিশ একটি প্রাইভেটকারসহ বেগমপুর বিলপাড়ার মাদকব্যবসায়ী আব্বাস ও ঢাকার সোনিয়াকে আটক করেন। আব্বাস ও সোনিয়াকে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে নেয়া হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। এএসআই প্রাইভেটকারটি ফাঁড়িতে নেয়ার জন্য চেপে বসেন ড্রাইভারের পাশে। ফাঁড়ির সামনে গিয়ে সুচতুর ড্রাইভার প্রাইভেটকারটি ফাঁড়িতে না ঢুকিয়ে সোজা ঝিনাইদহের দিকে দ্রুতবেগে চালিয়ে পালিয়ে যায় দারোগাকে নিয়ে। পথিমধ্যে দারোগার অনুরোধে ড্রাইভার বড়শলুয়া কলেজের নিকটে তাকে নামিয়ে দিয়ে ফেনসিডিল ভর্তি প্রাইভেটকারটি নিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। পরে এএসআই শরিফুল ইসলাম ক্যাম্পে এসে আটককৃত আব্বাস ও সোনিয়াকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

একটি সূত্র বলেছে, ওই প্রাইভেটকারে ১ হাজার ২শ বোতল ফেনসিডিল ছিলো। যার মালিক বেগমপুর বিলপাড়ার ফেনসি সম্রাট আমিনদ্দিনের ছেলে বাবু। এ বিষয়ে এএসআই শরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি প্রাণে বেঁচে গেছি এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকেই মন্তব্য করে বলেছে, এ রুটে দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান গেলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি। অবশেষে ধরা পড়ে তাও গেলো পালিয়ে।