চুয়াডাঙ্গার স্কুলছাত্রী রুবিনা হত্যা মামলার আসামি সাদ্দাম গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসির নেতৃত্বে সফল অভিযান

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দক্ষিণ গোরস্তানপাড়ার স্কুলছাত্রী রুবিনা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি ফার্মপাড়ার সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশই তদন্ত করছে। আলমডাঙ্গা থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হযেছে। আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়ে রিমাণ্ড শোনানির দিন ধার্য করেছে।

পুলিশ বলেছে সাদ্দাম বেশ কিছুদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। গতকালই তাকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। এই সাদ্দাম তার তিন সহযোগীর সাথে চুয়াডাঙ্গা মাছের আড়ত পট্টির আলোচিত হরিজনের নিকট থেকে বাংলা মদ নিয়ে মাছপট্টিতে বসেই মদ পান করে। মদ পানের পর নারীর নেশায় মেতে ওঠে। এই সাদ্দামই তার শ্বশুর হুমায়ুনের বাড়িতে স্কুরছাত্রী রুবিনাকে ডেকে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। হকপাড়ার শুকুর আলী এরকমই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেছে, হুমায়ুন বাঙাল ধর্ষণের পর যখন আমি (শুকুর আলী) যাই, তখন দেখি রুবিনা অসাড়। মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ গোরস্তানপাড়ার রবিউল ইসলাম রবির মেয়ে রুবিনা খাতুন (১৩) ছিলো রিজিয়া খাতুন প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২ মে বিকেলে রুবিনার মৃতদেহ পাশের বাড়ির হুমায়ুন বাঙালের বাড়ি থেকে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে রুবিনাদের বাড়ির উঠোনের আমগাছে ঝুলিয়ে রেখে হুমায়ুন বাঙালের স্ত্রী ও মেয়েসহ অন্যরা আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে থাকে। গৃহপরিচারিকার কাজ করার সময় খবর পান মেয়ে মারা গেছে। চায়না খাতুন বাড়ি ফিরে প্রতিবেশী হুমায়ুন বাঙালের স্ত্রীর প্ররোচনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের দিকে ঝুঁকতে থাকেন। অবশেষে খবর পেয়ে রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত করা হয়। মহল্লার সাধারণ মানুষসহ রুবিনার সহপাঠীরা রাস্তায় নেমে হত্যার নেপথ্য উন্মোচনের দাবি জানায়। একপর্যায়ে হুমায়ুন বাঙলালের মুখোশ খুলতে শুরু করে। রুবিনার মা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার করা হয় হুমায়ুন বাঙালের স্ত্রীকে। মামলার ৩ নম্বর আসামি ফার্মপাড়ার জাহিদ হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন। সে হুমায়ুন বাঙালের জামাই। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকেই সাদ্দাম পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাজমুল হুদার নেতৃত্বে এসআই আশরাফ, এসআই ইব্রাহিম ও এসআই জগদিশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাদ্দামকে আটক করেন। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।