চুয়াডাঙ্গার সকল সাংবাদিক একীভূত : সম্মিলিতভাবে নতুন কমিটি গঠন সর্বস্তর থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সকল সাংবাদিকের একীভূত ও সম্মিলিতভাবে সর্বসম্মতিক্রমে গঠিত নতুন কার্যকরী কমিটিকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, পৌরসভা, চেম্বারসহ সুধীমহল। সাংবাদিকদের এক কাতারে ও একটি সংগঠনের পতাকাতলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দাঁড়ানোকে অনন্য দৃষ্টান্ত বলেও মন্তব্য করেছেন সকলে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন জেলা প্রশাসনের পক্ষে সাংবাদিকদের একীভূত হওয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন। জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার সকল সাংবাদিক মহামিলন ঘটিয়ে যে বছরের যাত্রা শুরু করলেন, তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখেন। নতুন কার্যকরী কমিটির সকলকে জেলা পুলিশের তরফে অভিনন্দন। চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিক বন্ধুদের বিগত দিনের বিভক্তি সমাজের দায়িত্বশীল অনেককেই বিব্রত করেছে। সাংবাদিক বন্ধুরা সেখান থেকে মুক্ত হয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এক কাতারে দাঁড়িয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। সব সময়ই সাংবাদিক বন্ধুদের ছিলাম, আছি এবং থাকবো। সকল সাংবাদিককে অভিনন্দন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নতুন কার্যকরী কমিটি চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকতার মানবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস। এ দু কমিটির নেতৃবৃন্দের সফলতা প্রত্যাশী। চুয়াডাঙ্গা চেম্বার সভাপতি হাজি ইয়াকুব হোসেন মালিক নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, সার্বিক উন্নয়নে সুস্থ ধারার গণমাধ্যম সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা রাখে। চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিক বন্ধুরা অব্যাহতভাবে সেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। পৃথক স্থানে থেকে নয়, এক কাতারে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বন্ধুরা উন্নয়নে আরো বেশি বেশি অবদান রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস। এক কাতারে দাঁড়ানোর জন্য সকলকে ধন্যবাদ। নতুন কমিটিকে স্বাগতম, শুভেচ্ছা। পৃথকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় প্রেসক্লাব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একে হিরু। তিনি বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার সকল সাংবাদিককে ধন্যবাদ। নতুন কমিটিকে অভিনন্দন।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গায় দুটি প্রেসক্লাব ছিলো। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও প্রেসক্লাব চুয়াডাঙ্গা নামে দুটি সংগঠনভুক্ত সাংবাদিকদের সকলে সম্মিলিতভাবে একীভূত হয়ে সবাই বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব পতাকাতলে সমাবেত। গত পরশু সন্ধ্যায় জরুরি সাধারণ সভার মধ্যদিয়ে মহামিলনের আয়োজন করা হয়। সম্মিলিতভাবে সর্বসম্মতিক্রমে গঠিত হয় নতুন কার্যকরী কমিটি। সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক মাহতাব উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক সরদার আল আমিন। একই দিনে গঠিত হয় সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট। এ ইউনিটের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাড. এসএম শরিফ উদ্দীন হাসু ও ডা. শাহার আলী। গতকাল দুটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে পৃথক থাকার পর একীভূত হওয়াকে সর্বস্তর থেকে অভিনন্দন জানানো অব্যাহত রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সকল সাংবাদিক একীভূত হওয়ায় প্রেসক্লাব চুয়াডাঙ্গার তহবিলসহ ফাইলপত্র চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাথে যুক্ত করার মধ্যদিয়ে প্রেসক্লাব চুয়াডাঙ্গার বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রেসক্লাব চুয়াডাঙ্গার কার্যালয়টি বিগত দিনের মতো সাংবাদিক সমিতির কার্যালয় হিসেবেই ব্যবহৃত হবে। নেতৃবৃন্দ এ তথ্য জানিয়েছেন।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা দুটি প্রেসক্লাবসহ সকল সাংবাদিক এক কাতারে দাঁড়িয়ে কমিটি গঠন করেছেন। প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসক্লাব দর্শনার সকল সদস্য। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটির সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক মাহতাব উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক বাংলাভিশন প্রতিনিধি দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রকাশক সম্পাদক সরদার আল আমিন এবং সাংবাদিক সমিতির নবগঠিত সভাপতি এসএম শরীফ উদ্দীন হাসু ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহার আলীসহ সকল সদস্যকে প্রেসক্লাব দর্শনার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসক্লাব দর্শনার সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পিপুল, সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু, বর্তমান পরিষদের সহসভাপতি ইয়াছির আরাফাত মিলন, যুগ্মসম্পাদক চঞ্চল মেহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম ওসমান, কোষাধ্যক্ষ হানিফ মণ্ডল, সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক রাজিব মল্লিক, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান যুদ্ধ, আজিম উদ্দীন, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান সুমন, আহসান হাবীব মামুন, সাব্বির আলীম, মনজুরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, জামান তারিক, জাহিদুল ইসলাম, এফএ আলমগীর, মেহেদী হাসান প্রমুখ।