চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়ায় ভিটে জমি কেনা নিয়ে বাঁশ দিয়ে চাচার মাথায় ভাতিজার আঘাত : ২৪ ঘণ্টার মাথায় চাচার মৃত্যু : আরেক চাচা আহত

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের বড়শলুয়া গ্রামে ভাইয়ের বিক্রি করা বসতভিটার জমি কেনা নিয়ে ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচার মৃত্যু হয়েছে। চাচার মাথায় লাঠির আঘাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়। অপর চাচা কাশেম আহত হয়েছেন।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, বড়শলুয়া মোষতলাপাড়ার বিশারত আলীর ছেলে রমজান আলী তার বসতভিটার চার কাঠা জমি বিক্রি করার কথা বলে। ওই জমি অপর ভাই মান্নান দু কাঠা, রুকমান এক কাঠা ও হান্নান এক কাঠা কেনার প্রস্তাব করে। বিশেষ মুহূর্তে টাকার প্রয়োজন হলে রমজান তার ভাই হান্নান, মান্নান ও রুকমানের নিকট টাকা চায়। তখন হান্নান ও রুকমান টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। এ সময় মান্নান চার কাঠা জমির টাকা একাই পরিশোধ করে দেয়। টাকা পরিশোধ হলেও জমি রেজিস্ট্রি বাকি থাকে। এ নিয়ে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে পারিবারিকভাবে সালিস বৈঠক বসে। সালিস বৈঠকের একপর্যায় উপস্থিত ভাইদের মধ্যে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ সময় ভাই মান্নান ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা টর্চলাইট দিয়ে অপর ভাই কাশেমের মাথায় আঘাত করে। হান্নান ঠেকাতে আসে এবং বিরোধ চূড়ান্ত আকারে রূপ নেয়। বিরোধে জড়িয়ে পড়ে সকলেই। এরই মাঝে মান্নানের ছেলে তরিকুল বাঁশ দিয়ে চাচা হান্নানের মাথায় সজোরে আঘাত করে। হান্নান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে ওই রাতেই উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক হান্নানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। হান্নানের অবস্থার আরও অবনতি দেখা দিলে গতকালই সন্ধ্যার দিকে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার করেন। হান্নানের সাথে থাকা অপর ভাই আবুল কাশেম মোবাইলফোনে জানান, ঢাকার পৌঁছানোর আগেই টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৌঁছুলে গতকাল রাত সাড়ে ন’টার দিকে হান্নান (৫৫) মারা যায়।

কাশেম ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, আমার ভাইকে মান্নান ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম বাঁশ দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছে এবং আমার মাথায় টর্চলাইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছে। মাথায় চারটি সেলাইও দেয়া হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিশারত মণ্ডলের পাঁচ ছেলে রমজান, হান্নান, মান্নান, কাশেম ও রুকমান। এদের মধ্যে হান্নান ৪র্থ। হান্নান এক ছেলে দু মেয়ের জনক। এদিকে হান্নানের মৃত্যুর সংবাদ তার বাড়িতে পৌঁছুলে পরিবার জুড়ে কান্নার রোল পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হান্নানের লাশ গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এদিকে ভাই মান্নান ও তার ছেলে তরিকুল গাঢাকা দিয়েছে।