চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় পুলিশের গুলিতে শিবিরের এক কর্মী নিহত

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে রফিকুল ইসলাম (২২) নামের শিবিরের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে আগামী রোববার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে শিবির কেন্দ্রীয় পরিষদ। চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রুহুল আমিন ও ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি হাফেজ বেলাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের সময় রফিকুল ইসলামের মাথায় গুলি লাগে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত রফিকুলের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম শহীদুল ইসলাম। তিনি একই উপজেলার বদরগঞ্জ বাকিবিল্লাহ কামিল মাদ্রাসার ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের মুক্তির দাবিতে দর্শনায় শিবিরের পক্ষ থেকে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলটি দর্শনা বাজার থেকে বাসস্ট্যান্ডে যায় এবং সেখানে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে শিবিরের লোকজন কেরুজ রেস্ট হাউসের কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিবিরের কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ  গুলি ছোড়ে। গুলি রফিকুলের মাথায় লাগে। তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

পুলিশ সুপার আবদুর রহিম শাহ চৌধুরী জানান, কেরুজ এলাকায় অবস্থিত পূজামণ্ডপে হামলার আশঙ্কায় শিবিরের কর্মীদেরকে মিছিল করতে বাধা দেওয়া হয়। ওই সময় চার থেকে পাঁচ শ শিবিরের কর্মী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন এবং পূজামণ্ডপে হামলা চালান। ঘটনার সময় পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য ১৫টি গুলি চালায়। এতে শিবিরের এক কর্মী আহত হন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রুহুল আমিন জানান, শিবিরের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার সময় পুলিশ বিনা উসকানিতে পেছন থেকে উপর্যুপরি গুলি ছোড়ে। এ সময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। গুলি রফিকুলের মাথায় লাগে। তিনি  ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

বিকেল পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গায় তিন প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়। পরে  সন্ধ্যা  থেকে সেখানে র্যাবের টহল শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. দেলওয়ার হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।