স্টাফ রিপোর্টার: একই রোগীর ইউটিআই পরীক্ষা করে ৩ রকম রিপোর্ট দিয়েছে চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতাল রোডের তিনটি প্যাথলজি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো স্মৃতি প্যাথলজি, আবদুল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড। তিনটি প্যাথলজিতে তিন রকম রিপোটের কোনটি ঠিক?
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকার একজন গত ১ বছর ধরে ইউরিনারি ট্রাক ইনফেকশন রোগে ভুগছেন। ডাক্তারের পরামর্শে তিনি তার রোগের জীবাণু অবস্থান জানতে প্রায়ই ইপিআই সেল ও মূত্র পরীক্ষা স্মৃতি প্যাথলজিতে পরীক্ষা করান। দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারের ওষুধ সেবনের পরও ইপিআই সেল ও পুস সেল সাধারণ মাত্রায় না আসায় ডা. প্রফেসর হারুন আর রশীদের (নেফরোলজি কিডনি ফাউন্ডেশন ঢাকা) পরামর্শে অন্য দুটি প্যাথলজিতে ইপিআই সেল ও পুষ সেল পরীক্ষা করান। রির্পোটে দেখা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় আবদুল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করা পরীক্ষায় ইপিআই সেল ১-২ মাত্রায়, পুষ সেল ৩-৪ মাত্রায়। অপরদিকে বেলা সোয়া ২টায় স্মৃতি প্যাথলজিতে ইপিআই সেল ৮-১০ মাত্রায় আর পুষ সেল প্লান্টি (অগণিতক) মাত্রায়। সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টায় সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডের রিপোর্টে ইপিআই সেল ০-২ মাত্রায়, পুষ সেল ৮-১০ মাত্রায়। তিনটি প্রতিষ্ঠানের তিন রকম রিপোর্ট দেখে চমকে ওঠেন রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা। রোগীর স্বজনরা সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩টি রিপোর্ট দেখালে তারা পুনর্বার পরীক্ষা করেন। এ সময় ইপিআই সেল ০-২ মাত্রায়, পুষ সেল ৩-৫ মাত্রায় পান। এ বিষয়ে দীর্ঘদিনের স্বনামধন্য স্মৃতি প্যাথলজির প্যাথলজিস্ট মো. আব্দুর রহমান বলেন, অগণিতক বলতে আমরা ২০ এর অধিক মাত্রাকে ধরি। সে কারণে প্লান্টি লেখা হয়। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের ৩০ অক্টেবর/১৩ ও ৩ নভেম্বর/১৩ তারিখের রিপোর্টে ২৫-২৭ ও ২৮-৩০ মাত্রায় দেখানো হলেও প্লান্টি লেখা হয়নি। এ ব্যাপারে আব্দুর রহমান বলেন, কয়েক ঘণ্টার ব্যাবধানে এ ধরনের রিপোর্ট হতে পারে। তবে ডাক্তাদের অভিমত একই দিনে একই রোগীর ক্ষেত্রে এ ধরনের রিপোর্ট আসার কথা নয়। কোথাও না কোথাও ত্রুটি হয়েছে।