চুয়াডাঙ্গার কমলাপুর পিটিআই মোড়ের অদূরে ফুটবল মাঠে হাত পা বাধা সটান পড়ে গ্রাম পুলিশ কাবা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: কনকনে শীতের সকালে চুয়াডাঙ্গার কমলাপুর পিটিআই স্কুলমাঠে সটান পড়ে এক ব্যক্তি। হাত পা বাঁধা। চিত হয়ে শোয়া। মৃতভেবে পথচারীদের তেমন কেউই হাত দিয়ে দেখেনি, কৌতূহলী কয়েকজন ওই ব্যক্তির পাশে দাঁড়ালেও সকলে নির্বাক। সাংবাদিককে খবর দেয়া হলো, সাংবাদিক এসে ক্যামেরা তাক করলো, তখনও সটান পড়ে মধ্যবয়সী মানুষটা।
পরনের পোশাক দেখেই চিনেছে স্থানীয়রা। তিনি পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে রবিউল ইসলাম কাবা। মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার। গ্রাম পুলিশ। তার কেন এ দশা? এ প্রশ্নের জবাব মেলার আগেই ছুটে আসেন তার নিকটজনেরা। তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নেয়া হয়। পরে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে গ্রাম পুলিশ কাবা বলেছে, সোমবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দেশে রওনা হই। পথিমধ্যে কয়েকজন মুখোশধারী গতিরোধ করে। উঁচু করে তুলে চোখ মুখ হাত বেঁধে শুরু করে পিটুনি। জ্ঞান হারিয়ে পড়েছিলাম পিটিআই ফুটবল মাঠে। স্থানীয়রা বলেছে, বিষয়টি রহস্যজনক। রাতে মাঠে পড়ে থাকলো। সকাল ৮টার দিকে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হলো। বিষয়টি কেমন যেন গোলমেলে বলে মন্তব্য অনেকের। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, গ্রামপুলিশ রবিউল ইসলাম কাবা এলাকার সৎ ব্যক্তি বলেই পরিচিত। কিছুদিন আগে এলাকার গাঁজা মদ বিক্রেতাদের কয়েকজনকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগে বিভিন্ন সময় হুমকি আসতে থাকে। এর আগে আমিরপুরের রেলগেটে কয়েকবার প্রকাশ্য হুমকিও দিয়ে চাদাঁ চেয়েছে কয়েক অজ্ঞাত ব্যক্তি। কাবা দরিদ্র মানুষ, চাদাঁ না দিতে পারায় তাকে অপহরণের পর হাত-পা বেধেঁ বেধড়ক পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে গেছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা।