চুয়াডাঙ্গাঝিনাইদহ ও যশোরে ৩টি হাইওয়ে থানা হচ্ছে

 

 

ঝিনাইদহ অফিস: সড়কে ডাকাতি, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও অপরাধ দমনের লক্ষ্যে ৩ জেলায় আরও ৩টি হাইওয়ে থানা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোরের খাজুরা, ঝিনাইদহের গাড়াগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় এসব থানা করার জন্য স্থান নির্ধারণ, যাচাই বাছাইসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এসব থানার ফাইলগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে রয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, ঝিনাইদহের বারোবাজারে একটি মাত্র হাইওয়ে থানা রয়েছে। এ থানার অধীনে মাগুরা জেলার রামনগর, কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস ও যশোর জেলার নাভারণে তিন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। বারোবাজার থেকে হাইওয়ে থানা পুলিশ যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও কুষ্টিয়া জেলায় তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। বারোবাজার থেকে এসব জেলার দূরত্ব অনেক বেশি। অনেক সময় বারোবাজার থেকে অন্য জেলায় দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে হাইওয়ে পুলিশের পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়। সময়মতো সেখানে হাইওয়ে পুলিশ যেতে পারেন না। বর্তমান বারোবাজার হাইওয়ে থানা যশোরের বেনাপোল থেকে কুষ্টিয়ার লালনশাহ সেতু, মাগুরা জেলার কামারখালী ব্রিজ, যশোর জেলার নড়াইলের শেষ সীমান্ত ও যশোর জেলার শেষ সীমান্ত এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ড চলছে বলে জানা যায়।

একটি মাত্র হাইওয়ে থানা দিয়ে এতোগুলো জেলায় কাজ করতে বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশের রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে। জনস্বার্থে বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারের উচ্চ মহলে জানানোর পর নীতি নির্ধারণী মহলে আরও তিন থানার করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এসব প্রস্তাব বিবেচনা করে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় আরো তিনটি থানা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর নীতিনির্ধারণী মহল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা, ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ ও যশোর জেলার খাজুরায় হাইওয়ে থানার জন্য স্থান নির্ধারণ ও যাচাই বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়। স্থান নির্ধারণ ও যাচাই-বাছাইয়ে কর্মকাণ্ড শেষে ৩টি স্থানে ৩টি হাইওয়ে থানা করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্নের জন্য কাগজপত্র তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এসব থানার ফাইলগুলো খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এসব থানায় একজন ইন্সপেক্টর, কয়েকজন সার্জেন্ট, কয়েকজন এসআই, এএসআই ও নির্দিষ্ট পরিমাণ কনস্টেষ্টেবল চাওয়া হয়েছে। ফাইল অনুমোদন ও থানা পরিচালনা জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও গাড়ি পেলেই তিন থানার কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।

বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ঝিনাইদহের গাড়াগঞ্জ, যশোর জেলার খাজুরা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় নতুন করে তিনটি হাইওয়ে থানা স্থাপন করা হচ্ছে। সম্ভবত ২/৩ মাসের মধ্যে এসব থানার কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন করে এসব থানা চালু হলে এ অঞ্চলে হাইওয়ে থানার সংখ্যা দাঁড়াবে ৪টি। তিনি আরো জানান, হাইওয়ে পুলিশের সড়ক দুর্ঘটনার মামলা নেয়া ছাড়া আর তেমন কোনো ক্ষমতা নেই। মূলত তারা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, অপরাধ দমন ও রোড ডাকাতি প্রতিরোধে কাজ করছেন। নতুন ৩টি থানা চালু হলে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হবে তিনি মনে করেন।