চিত্রনায়ক মিঠুনের ইন্তেকাল

স্টাফ রিপোর্টার: চিত্রনায়ক ও গীতিকার শেখ আবুল কাশেম মিঠুন আর নেই। গত রোববার রাত ২টায় কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্না…রাজেউন)। গতকাল সোমবার বিকেলে কলকাতা থেকে নিহতের লাশ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাতেই মরদেহ সাতক্ষীরা হয়ে তার গ্রামের বাড়ি আশাশুনির দরগাহপুর গ্রামে পৌঁছার কথা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জানাজা শেষে পিতা শেখ আবুল হোসেনের কবরের পাশে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

গত ১১ মে সোমবার অসুস্থ মা হাফেজা খাতুনকে দেখতে খুলনায় আসেন আবুল কাশেম মিঠুন। সেখানে বুধবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল খুলনায় ভর্তি করা হয়। সোমবার পর্যন্ত সেখানেই তার চিকিৎসা চলে। তার অবস্থার আরো অবনতি হলে ১৯ মে মঙ্গলবার সকালে তাকে ভারতে পাঠানো হয়। রোববার তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। পরে রাত ২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মিঠুন। শেখ আবুল কাশেম মিঠুন ১৯৫১ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালান্তরে লেখালেখির মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি ১৯৮০ সালে ‘তরুলতা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। তার অভিনীত অন্য ছবিগুলো হলো ঈদ মোবারক, ভেজা চোখ, নিকাহ, কুসুমকলি, প্রেম প্রতিজ্ঞা, বেদের মেয়ে জোছনা, নিঃস্বার্থ, সাক্ষাৎ, স্বর্গনরক, ত্যাগ, চাকর, জিদ, চাঁদের হাসি, নরম গরম, গৃহলক্ষ্মী, এ জীবন তোমার আমার, খোঁজ খবর, ছোবল, কসম, দিদার, পরিচয় ইত্যাদি। তার রচিত কাহিনী ও চিত্রনাট্যে নির্মিত ছবিগুলো হলো ঈদ মোবারক, মাসুম, প্রেম প্রতিজ্ঞা, চাকর, কুসুমকলি, দস্যু ফুলন, জেলহাজত, তেজ্যপুত্র, সর্দার, অন্ধ বধূ ইত্যাদি। তিনি দিগন্ত টেলিভিশনে কর্মরত ছিলেন। মিঠুনের অকাল মৃত্যুতে চলচ্চিত্র শিল্পী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে।