চাকরি দেয়া ও বদলির কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ : ছলচাতুরি

স্কুলশিক্ষক শামীম হোসেনের জেল জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নানা অভিযোগে অভিযুক্ত শামীম হোসেনকে পৃথক দুটি মামলায় মোট ৪৫ দিনের কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার নজির হোসেনকে বদলি করে দেয়ার কথা বলে ৭০ হাজার ও বুজরুকগড়গড়ির আব্দুল মতিনের ছেলেকে কৃষি অফিসে চাকরি দেয়ার কথা বলে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া মামলায় এ দ-াদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়ও ২ লাখ ২০ হাজার অর্থদ-াদেশও দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।
গতকাল সোমবার দুটি মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিলো। আসামি শামীম হোসেন আদালতে হাজিরা দিলেও রায়ের সময় তাকে ডেকে পাওয়া যায়নি। ফলে তাকে পলাতক দেখিয়েই চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম-দায়রা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তপন রায় এ রায় ঘোষণা করেন। শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে আরও অনেকের নিকট থেকে টাকা নিয়ে তা ফেরত না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
চুয়ডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় বাদালপাড়ার আবু তালেব তালুর ছেলে শামীম হোসেন নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে পিরপুরে দায়িত্ব পালনের সময়ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। গ্রামেরই মারুফ হোসেনের নিকট থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে মোটাঅঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মুচলেকা দেয়। চেকও দেয় সে। এছাড়াও কতোজনের নিকট থেকে চাকরি দেয়া ও চাকরির কর্মস্থল থেকে বদলি করিয়ে দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে তার নিকট আত্মীয় আছে বলে প্রচার করে এ অর্থ হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। একের পর এক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েও কোনো কাজ না করে চেক দেয়ারও উদাহরণ অহরহ। এদেরই মধ্যে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার নজির হোসেন বদলির জন্য ৭০ হাজার টাকা দেন। টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। তিনি আদালতে মামলা দায়ের করে দেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে এ মামলা ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও ৭০ হাজার টাকা প্রদানের আদেশ দেন।
অপরদিকে বুজরুকগড়গড়ির আব্দুল মতিনের ছেলেকে কৃষি বিভাগে চাকরি দেয়ার কথা বলে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় শামীম। পরে টাকা না দিয়ে চেক দেয়। আদালতে মামলা দায়ের করেন আব্দুল মতিন। বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৩০ দিনের কারাদ- ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদানের আদেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আফজালুল হক আফজাল বলেছেন, আসামি রায়ের দিন হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার পূর্বে সরে পড়ে। ফলে এ বিষয়েও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।