চাঁদা না দেয়ায় দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ : চিরকুট ও গুলি উদ্ধার

দর্শনা সিএন্ডবিপাড়ায় কেরুজ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মোবাইলফোনে চাঁদা দাবি

 

 

দর্শনা অফিস: দর্শনাসহ আশপাশ এলাকায় মোবাইলফোনে চলছে নীরব চাঁদাবাজির ঘটনা। ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজচক্র। দর্শনা সিএন্ডবিপাড়ার কেরুজ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মোবাইলফোনে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ঘটিয়েছে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। বাড়ির বারান্দায় ফেলে রেখে গেছে পিস্তলের তাজা গুলি ও হাতে লেখা চিরকুট। চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে গোটা পরিবারে। চাঁদাবাজচক্রকে গ্রেফতারে পুলিশ রয়েছে তৎপর।

কেরুজ চিনিকলের পুরপ্রকৌশলী বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত জিএম, দর্শনা সিএন্ডবিপাড়ার হাবিবুর রহমানের মোবাইলফোনে বেশ কয়েকদিন থেকে (০১৮৫১-১৭৬২৭৪) মোবাইল নম্বর থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে চাঁদাবাজচক্রের সদস্য।

অভিযোগে জানা গেছে, চাঁদাবাজচক্রের সদসদ্যদের মধ্যে পূর্ববাংলা কমিউনিস্টপার্টি পরিচয় দিয়ে নিজেকে মজনু নাম দাবি করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় হাবিবুর রহমানের কাছে। প্রায় প্রতিদিনই ওই মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করা হলেও ভয় ও আতঙ্কে ফোন রিসিভ করেননি হাবিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। গত পরশু রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদাবাজচক্রের সদস্যরা হাবিবুর রহমানের বাড়ির সামনে পরপর দুটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ছেলে খালিদ হাবীব।

খালিদ জানান, চাঁদাবাজচক্রের সদস্যরা বোমা বিস্ফোরণের পর তাদের বাড়ির বারান্দায় হাতে লেখা একটি চিরকুট ও পিস্তলের গুলি রেখে যায়। চিরকুটে লেখা ছিলো ‘শুরুতেই জানাই লাল সালাম। উপহার দিলাম পিস্তল সেভেন’র একটি মাত্র গুলি। পরে আরো উপহার আছে। তার জন্য প্রস্তুত থাক।’ সকালে হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে চিরকুট ও পিস্তলের গুলি উদ্ধার করেছে দর্শনা পুলিশ।

এছাড়া দর্শনা হল্টস্টেশনপাড়ার এক ব্যবসায়ীর মোবাইলফোনে ০১৯২২-৮৩৫৩১৩ নং মোবাইলফোন থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে চাঁদাবাজচক্র। এদিকে দর্শনা আইসি পুলিশ বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান বলে জানিয়েছেন ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, বোমার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে চাঁদা দাবি ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় চরমভাবে আতঙ্কে রয়েছেন হাবিবর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।