চাঁদা দাবিতে গাংনীর ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ:আবারো দুটি বোমা উদ্ধার

 

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা শহরের ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম বোমাতঙ্ক। দাবিকৃত চাঁদা আদায়ে বোমা রেখে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সিরাজ সাইকেল স্টোরের সামনে থেকে দুটি বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। চাঁদা পরিশোধ না করায় বোমা রেখে সতর্ক করা হয়েছে বলে অজ্ঞাত চাঁদাবাজ জানিয়েছে দোকান মালিককে।

গতকাল দুপুরে সিরাজ সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মকবুল হোসেনের কাছে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মোবাইলফোনে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে বোমা মেরে হত্যার হুমকি দেয় ওই চাঁদাবাজ। দোকানের সামনে দুটি বোমা রাখা আছে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়। মকবুল হোসেন মোবাইলফোনের সূত্র ধরে দোকান ও আশেপাশে খোঁজাখুজি করেন। এক পর্যায়ে দোকানের সামনে বাইসাইকেলের টায়ারের গাদার মধ্যে বোমার সন্ধান পান। খবর দেয়া হয় গাংনী থানায়। এএসআই ইকরাম হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা উদ্ধার করেন। কাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা দুটি তাজা ও শক্তিশালী বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। বোমা দুটি পানি-বালি ভর্তি পাত্রে থানায় নেয়া হয়েছে।

এদিকে বোমার খবর পেয়ে বাজারের শ’ শ’ উৎসুক মানুষের ভিড় পড়ে। অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে মোবাইলফোনে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। কেউ পরিশোধ করে আবার কেউ নানান কৌশলে মুক্তি পাচ্ছেন। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে বোমা রাখা হচ্ছে। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। চাঁদাবাজদের হুমকিতে ব্যবসায়ীদের অনেকেই দোকান বন্ধ করে দিনের আলোয় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা আরো জানান, রমজান মাসের শুরু থেকেই চাঁদা দাবির ঘটনা ব্যাপকাহারে শুরু হয়েছে। রমজান মাসে আকমল গিফট সেন্টার ও একজন হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে সিরাজ সাইকেল স্টোরের মতোই চাঁদা দাবি করে বোমা রাখা হয়। দুটি দোকানের সামনে থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। তবে এসব ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। শনাক্ত হয়নি ওই চাঁদাবাজ। তবে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্থ করে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় চাঁদাবাজ চিহ্নিত ও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।