চলে গেলেন গর্বিত পিতা শিক্ষক শামসুল হুদা সরদার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চলে গেলেন চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় সরদারপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শামসুল হুদা সরদার। তিনি ছিলেন গর্বিত পিতা। ঢাকার বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট থেকে বাড়ি ফেরানোর পথে গতকাল শুক্রবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নাল্লিাহে……রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। গতকালই বিকেলে তথা বাদ আছর নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

শামসুল হুদা সরদার ১৯৬২ সালে চুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। আলুকদিয়ার আকন্দবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। মাঝে তিনি দৌলাতদিয়াড়, ভিমরুল্লাহ, নূরনগর জাফরপুর, কোটালি, প্রভাতীসহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলেসহ বহুগুনগ্রাহী রেখে গেছেন। স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বর্তমানে আকন্দবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছেন। ডিসেম্বরে অবসরগ্রহণ করবেন তিনি। ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শাহেদ আহম্মেদ বাংলাদেশ জুট করপোরশেনের বিপণন বিভাগের মহা ব্যবস্থাপক। মেজো ছেলে কামাল উদ্দীন আহম্মেদ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিইট ঈশ্বরর্দী আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। আর ছোট ছেলে সোহেল আহম্মেদ একজন চিকিৎসক। বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেকসারার। তিনি বলেছেন, আনুমানিক ১০ দিন আগে আব্বা এজমায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। নেয়া হয় ঢাকার বক্ষ ব্যাধি ইন্সটিটিউটে। সেখানে সব রকামের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অবস্থার উন্নতি অসম্ভব বলে চিকিৎসকেরা জানালে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছিলো। পথিমধ্যে মারা যান।