গুলিতে নিহত ওবায়দুল চট্টগ্রাম আ.লীগ নেতার ভাগ্নে

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানী ঢাকার কলাবাগানে মধ্যরাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ওবায়দুল হকের পরিচয় মিলেছে। তিনি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক এমপি নুরুল ইসলামের ভাগ্নে।

আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল হক তার ছোট বোনের ছেলে। নগরীর ষোলশহরে তাদের বাসা। সে সানোয়ারা গ্রুপের আইসক্রিম বিভাগের (সাবজিরো) ঢাকা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মকরত ছিলো। ভাগ্নেকে গুলি করে হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, শুনেছি তাকে ছিনতাইকারীরা গুলি করেছে। এর বাইরে কিছু জানি না। কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল জানান, শুক্রবার ভোররাতে হাতিরপুল এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত ওবায়দুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

সানোয়ারা গ্রুপের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অরূপ রতন রায় জানান, বসুন্ধরা শপিং মার্কেট সাবজিরো আইসক্রিম কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ছিলেন। ৫৭ নর্থ সেন্টাল রোডে কোম্পানির একটি বাসায় সস্ত্রীক থাকতেন পাঁচ মাস আগে বিবাহিত ওবায়দুল। একই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন অরূপ। অরূপ বলেন, পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, স্ত্রীর সাথে মোবাইলফোনে কথা বলে ঈদ উপলক্ষে দোকান বন্ধ করতে দেরির কথা জানিয়েছিলেন ওবায়দুল। হাতিরপুলের একটি ফার্মেসির দোকান থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার কথা ছিলো তার। রাত ১টার দিকে ওবায়দুলের পরিবারের সদস্যরা ফোনে জানায়, ওকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওবায়দুলকে উদ্ধারকারী রিকশাচালকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, একটি মোটরসাইকেল হাতিরপুলের একটি ফার্মেসির সামনে থামে। আরোহী তার মোবাইল, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়ার পর তার মাথায় গুলি করে চলে যায়। এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয় ইয়াসিন মো. আদনান রাতেই বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন, যাতে পরে পক্ষভুক্ত হন নিহতের ভাই শেখ আহমেদ।