গাংনী হাসপাতালের সেকমো তানভীর হাসান ও মালি রমজান এখন সার্জন?

 

 

 

অঙ্গ অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিসক!

গাংনী প্রতিনিধি: আব্দুর রাজ্জাক (৩৫) নামের এক রোগীর গোপনাঙ্গের টিউমার অপারেশন করে গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন মেহেরপুর গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (হাসপাতালের) সেকমো তানভীর হাসান। এঘটনায় তানভীর হাসান ও তার সহযোগী আলোচিত মালি রমজান আলী রোগীর আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় জনগণের রোষানলে পড়ে আত্মগোপন করেছেন। রোগী আব্দুর রাজ্জাকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অভিযোগে জানা গেছে, এ উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গত মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার গোপনাঙ্গের পাশে টিউমারের চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত সেকমো তানভীরকে অনুরোধ করেন। এসময় তানভীর রাজ্জাককে জানান, এটি অপারেশন না করা হলে ভবিষ্যতে ক্যান্সার হবে। ৫ হাজার টাকা দিলে তিনি অপারেশন করে দেবেন বলেও জানান। জীবন বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত সমুদয় টাকা পরিশোধ করলে তিনি (সেকমো তানভীর) ও মালি রমজান আলী ইমার্জেন্সি রুমে টিউমারটি অপারেশন করেন। এসময় রোগীর অণ্ডকোষের একটি রগ কাটা পড়ে বলে অভিযোগ করেন ওই রোগী। গত ৭দিন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গতকাল সকালে আরএমও ডা. আনোয়ারুল ইসলাম তাকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

এ সংবাদ পেয়ে রোগীর লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে আলোচিত সেকমো তানভীর ও রমজান মালির ওপর চড়াও হয়। এসময় কৌশলে পালিয়ে যান তারা। পরে ডা. এমকে রেজা রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান করলে রোগীর লোকজন শান্ত হয়। তার রেফার বাতিল করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়।

বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ, তানভীর হাসান প্রায়ই মাদকসেবন করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের সাথে অসদাচরণ করেন ও ভুল চিকিৎসা দেন। সম্প্রতি তিনি একটি বাহিনীর সদ্যদের হাতে ফেনসিডিলসহ ধরা পড়েন। তবে কৌশলে ছাড়া পান।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মালি দিয়ে নয়, কোনো সেকমো অপারেশনের নাম পর্যন্ত মুখে আনতে পারবেন না। কীভাবে এটা হলো তা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।