গাংনী আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গাঁজা সেবনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রের মাথা ফাটালো তিন বখাটে

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে গাঁজা সেবনের প্রতিবাদ করায় নবম শ্রেণির ছাত্র রাজু আহম্মেদের (১৪) মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তিন বখাটে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হচ্ছে- ভবানীপুর গ্রামের রাফিজ (বহিরাগত), আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রনি ও ৮ম শ্রেণির ছাত্র আলমগীর। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রনি, আলমগীর ও রাফিজ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তারা বিদ্যালয়ে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট করছে। মাঝে মধ্যেই শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসে সিগারেট ও গাঁজা সেবন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল রোববার পাঠদান শুরুর আগে দশম শ্রেণির কক্ষে তারা গাঁজা সেবন করছিলো বলে জানতে পায় ছাত্ররা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই তিন বখাটে ছাত্রদের ওপর হামলা করে। এতে কয়েকজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় নবম শ্রেণির ছাত্র রাজুকে বেধড়ক মারপিট করে। লাঠির আঘাতে রাজুর মাথা ফেটে যায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন পরিবারের লোকজন।
ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর বলেন, ঘটনার সময় আমি ওপর তলায় ছিলাম। হামলার পরে ঘটনাটি জেনেছি। তবে এভাবে বখাটেদের অত্যাচারে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে দিতে পারিনা। তাই খুব শিগগিরই পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে ভবানীপুর ক্যাম্প ইনচার্জকে পাঠানো হয়েছিলো। আহত ছাত্রের পরিবার যদি মামলা দেয় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে বখাটেদের প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে বিদ্যালয়ে বখাটেদের অনুপ্রবেশ ও ছাত্রী উত্ত্যক্তের ঘটনা ঘটলেও প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের নিরবতায় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে গাঁজা সেবনের বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, মেয়েদের যাওয়া-আসার পথে বখাটেরা উতত্তক্ত করলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বখাটেরা মাথায় উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।