গাংনীর হাড়াভাঙ্গায় সাড়ে ৮ মাস পর কবর থেকে বৃদ্ধের লাশ উত্তোলন

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের হাজিপাড়ার বৃদ্ধ নিয়ামত আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাড়ে ৮ মাস পর গতকাল শনিবার দুপুরে উত্তোলন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পারভেজের নেতৃত্বে মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে হাড়াভাঙ্গা গ্রামের চারাগাছতলা মাঠে জনৈক কুদ্দুস আলীর কাঁঠালগাছে বৃদ্ধ নিয়ামত আলীর ঝুলন্ত মরদহে উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। এটি আত্মহত্যা ভেবে পরিবারের লোকজন মামলা ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন সম্পন্ন করেন।

মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে রোকুনুজ্জামান জানান, তার চাচাতো ভাই মোশারফের সাথে চার শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। এর জের ধরে মোশারফ ও তার লোকজন তার পিতাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। দাফনের কয়েকদিন পর এমন সন্দেহ হলে গত ১৪ মে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাচাতো ভাই মোশারফ হোসেনসহ সাতজনের নামে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়। বিষয়টি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দেন। একই সাথে মৃত্যুও কারণ জানতে চেয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের আদেশ দেন আদালত।

সিআইডির এসআই আব্দুর রহিম তদন্ত সাপেক্ষে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গাংনী থানায় রুজু সাপেক্ষে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সিআইডির এসআই আব্দুর রহিম। মরদেহ উত্তোলনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম, ফাতেমাতুজ্জোহরা, অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম, সিআইডির ওসি আফাজ উদ্দিন, এসআই আব্দুর রহিম প্রমূখ।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে হলে ফরেনসিক পরীক্ষা করতে হবে। তাই নিয়ামত আলীর মরদেহ ঢাকায় প্রেরণ করা হবে।