গাংনীর আড়পাড়া গ্রামের ৬ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় তিনজন চিহ্নিত

 

 

বিচার না পেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগীরা

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের ৬ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় তিনজকে অভিযুক্ত করেছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল শনিবার সকালে গ্রাম্য সালিসে তাদের বিচার করার সিদ্ধান্ত হলেও সালিসসভা হয়নি। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই ৬টি পরিবারের সদস্যরা। সালিসপতিদের বিচারের আশ্বাসে থানায় মামলাও করেননি তারা।

গত ২৭ জুলাই রাতে আড়পাড়া গ্রামের গোরস্তানপাড়ার নাজিম উদ্দীন, হাসিবুল ইসলাম, ইন্তাজ আলী, তাইজেল হোসেন, ইন্তাজুল ইসলাম ও সহির উদ্দীনের বাড়িতে ডাকাতি সংঘঠিত হয়। ডাকাতিকালে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে বানা মিয়া ও কুদ্দুসের ছেলে সাহাবুলসহ তিনজনকে চিনতে পারেন ভুক্তভোগীরা। পরদিন সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে সমাজপতিরা বিচারের উদ্যোগ নেন। ভুক্তভোগী নাজিম উদ্দীন ও হাসিবুল ওই দুজনের বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তাদের বাড়িতে বানা ও সাহাবুলসহ ডাকাতদলের অন্যান্য সদস্যরা কীভাবে লুটপাট করেছে তার বর্ণনা দেন। বিচারের জন্য গতকাল শনিবার দিন নির্ধারণ করেছিলেন সমাজপতিরা।

এদিকে বিচার কাজে উপস্থিত থাকার জন্য শুক্রবার গ্রামে মাইকিং করা হয়। সেমত গতকাল সকালে আড়পাড়া বাজারে বিচার দেখার জন্য গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হন। উপস্থিত হন ডাকাতির কবলে পড়া ৬ বাড়ির লোকজন। সকাল থেকে মানুষের ভিড় শুরু হলেও বিচার কার্জ বিলম্ব নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। সমাজপতিদের কয়েকজন উপস্থিত হলে গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন। এমনই একজন বিচারপতি ওই গ্রামের সিদ্দিক মেম্বার বলেন, যারা সালিস করবেন তাদের কয়েকজন জরুরি কাজে বাইরে অবস্থান করছেন বিধায় আজ সালিস করা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীতে দিন ধার্য্য করে বিচার সম্পন্ন করা হবে। তাছাড়া অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।

বিচার না হওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দেয় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মাঝেও। তারা জানান, যারা ডাকাতির শিকার হয়েছেন তারা খুবই দুর্বল ও দরিদ্র পরিবারের মানুষ। ডাকাতের নাম বলে প্রতি পদে পদে হুমকির সম্মুখিন হচ্ছেন। বিচার না হওয়ায় তারা এখন আরো নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছেন। থানায় মামলা করার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তারা।

বিষয়টি জানতে চাইলে, গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম জানান, খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।