গরু আনতে গিয়ে ঠাকুরপুরের দু রাখাল ভারত অভ্যন্তরে গণপিটুনির শিকার

 

স্টাফ রিপোর্টার: গরু আনতে গিয়ে ভারত অভ্যন্তরে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছে দামুড়হুদা ঠাকুরপুরের দু দিনমজুর। গতপরশু রাতে গ্রামেরই ইস্রাফিল নামের একজনের গরু ভারত থেকে পাচার করে আনতে গেলে ঠাকুরপুর সীমান্তের আনুমানিক দু কিলোমিটার ভারত অভ্যন্তরের শিমলা গ্রামের জনগণ এদেরকে ধরে লাঠিপেটা করে। একই সাথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েও জখম করেছে দুজনকে।

জখম দুজন ঠাকুরপুরের শুকুর আলী (৩০) ও সব্দুল (৩৫) অন্যদের সহযোগিতায় পরশু রাতেই দেশে ফেরে। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। দীর্ঘ সময় রক্তক্ষরণে দুজনেরই অবস্থা শঙ্কাটাপন্ন হয়ে পড়ে। অবশ্য হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হলে এদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে থাকে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শুকুর আলীর মামা দামুড়হুদা ঠাকুরপুরের ইদ্রীস আলী বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর গ্রামেরই ইস্রাফিলের গরু ভারত থেকে পাচার করে আনার জন্য ২০/২২ জন রওনা হয়। সুযোগ বুঝে ওরা ভারতে প্রবেশ করে। সীমান্তের আনুমানিক ২ কিলোমিটার অভ্যন্তরে শিমলা গ্রামের মাঠের মধ্যে গরুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এরই মাঝে চোর সন্দেহে চাপড়ার থানার শিমলা গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুকুর আলী ও সব্দুল ধরা পড়ে। এদেরকে লাঠিপেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাঠে ফেলে রাখে। পরে অন্য একটি গ্রুপ দুজনকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনে।

শুকুর আলী ঠাকুরপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও সব্দুল একই গ্রামের জাহামোদ আলীর ছেলে। দুজনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। দুজনই অভিন্ন ভাষায় বলেছে, তারা জনাপ্রতি ৭শ টাকা হাজিরায় ভারত থেকে গরু পাচার করে আনতে গেলে বেকায়দায় পড়ে। এটাই তাদের ভারত থেকে গরু আনতে প্রথম যাওয়া বলেও দাবি করেছে আহত দুজন।