খুনতির ছ্যাঁকা দিয়ে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা গড়াইটুপিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে শাশুড়ি ভাসুর ও দেবরের নৃশংসতা

 

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: খুনতির ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন সইতে না পেরে ময়না খাতুন (৩০) স্বামীর গৃহ গড়াইটুপি থেকে গত শনিবার রাতের আঁধারে পালিয়ে পিতার বাড়িতে চুয়াডাঙ্গা সদরের মহাম্মদজমা গ্রামে এসে উঠেছেন। তাকে গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গবর ফেলাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত শাশুড়ি রহিমা খাতুন, ভাসুর বকুল মিয়া, দেবর মোদিন ও ঈমান আলী মিলে একটি কক্ষে বন্দী করে শুরু হয় নির্যাতন। স্বামী সোনা মিয়া স্ত্রী নির্যাতনে বাধা সৃষ্টি করেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে অভিযুক্তরা। ঘরে আটকে অসংখ্য স্থানে গরম খুতির ছ্যাঁকা দেয়া হয়। তিনি নির্যাতন সইতে না পেরে রাতের আঁধারে পালিয়ে পিতার বাড়িতে এসে উঠেন। দুপুরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।

ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে ময়না খাতুনের নিকটজনেরা বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মহাম্মদজমা গ্রামের আহাম্মদ আলীর মেয়ে ময়না খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী গড়াইটুপি  ইউনিয়নের গড়াইটুপি গ্রামের সোনা মিয়ার সাথে দীর্ঘ ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছরের মাথায় শাশুড়ি আলাদা করে দেন সেই থেকে ময়না খাতুন স্বামী সন্তান নিয়ে আলাদাভাবে সংসার করে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত শনিবার সন্ধায় গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি রহিমা খাতুন, ভাসুর বকুল মিয়া, দেবর মোদিন মিয়া ও  ঈমান আলী মিলে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেন। স্বামী বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।