খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু ইসির

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের বিশেষ বার্তা নিয়ে খালেদা জিয়ার সামনে হাজির হতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। এমনকি গাড়িবহর নিয়ে খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণাও বাসার সামনে আটকে দেয়া হতে পারে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র শুক্রবার রাতে এ বিষয় নিশ্চিত করেন। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক শুক্রবার বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিঠি দেয়া হবে। আজ ওই চিঠি পাঠানো হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সহস্র নাগরিক কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সাথে দেখা করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। ওই দিনই এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রস্তুত করে কমিশন। ওই চিঠিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তবে শুক্রবার ওই চিঠি ইসি থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে কি-না নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। সহস্র নাগরিক কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন- না, আমাদের এ নির্দেশনা কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে নয়, বিধি লংঘনকারী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের পাঠানো হবে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনপূর্ব সময়ে বিধিমালার কোনো বিধান লংঘন করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং উক্ত রূপ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডতি হবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ৬ দিন গণসংযোগ চালিয়েছেন খালেদা জিয়া। ওই সময়ে ৩ দিন তার গাড়িবহরে হামলা এবং একদিন বাধা দেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এমনকি তার গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয় এবং নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় তাবিথ আউয়াল ইসিতে নালিশ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। হামলার বিষয়ে পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।